ঢাকাস্থ নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন সম্পন্ন। ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সভাপতি পদে মনোনীত হলেন ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র মুনতাসির রহমান খান পুলক ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী মোঃ মোশাররফ হোসেন। নাসিরনগর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন থেকে সংগঠনমনা সদস্য বাছাই করে আগামী এক বছরের জন্য এই কমিটি অনুমোদিত হয়।
নব-নির্বাচিত সভাপতি বলেন, আমাকে নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি করায় প্রথমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সম্মানিত উপদেষ্টা ও সকল সদস্যদের প্রতি, আমরা ছাত্রকল্যাণের প্রতিটি সদস্য নিয়ে কাজ করবো, সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাবে প্রিয় সংগঠন।
নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথমে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সকল উপদেষ্টা ও সদস্যদেরকে, যারা আমাকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করেছেন এবং সংগঠনের সার্বিক উন্নয়নের ও সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
নব-নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ রামীম বলেন, নাসিরনগর উপজেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি হলো একটি পরিবার, পরিবারের সবাই যেভাবে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করে নেয়, তেমনি আমাদের বেলায়ও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রেখে আমরা হাতে-হাত, কাঁধে-কাধঁ মিলিয়ে প্রিয় সংগঠনকে নিয়ে যাবো উন্নয়নের উচ্চ শিকড়ে।
উল্লেখ্য যে, সাংস্কৃতিক রাজধানী খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বোত্তরের উপজেলার নাম হলো নাসিরনগর। হাওর বেষ্টিত ও প্রাকৃতিক লীলাভূমির অপূর্ব সৌন্দর্য ঘেরা এই উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীরা ঢাকা শহরের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচরণ করছে। তাদের নিয়েই ১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করে সকলের প্রাণের সংগঠন ছাত্রকল্যাণ সমিতি। সুদীর্ঘ ৩৩ বছর যাবৎ সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে এই সংগঠনটি।
ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে নিবেদন প্রাণ এই সংগঠনটি। সময়ে অসময়ে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা, তাদের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া, স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে রোগীদের পাশে থাকাসহ আরো অনেক উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে আছে এই সংগঠনটি।
তাছাড়া প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিজেকে বিলিন করে দেওয়া ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রতিবছর আয়োজন করা হয় শিক্ষা সফরের। আত্মার টানে মিলিত হয়ে খোদার পাণে মশগুল থাকার জন্য আয়োজন করা হয় ইফতার মাহফিলের।পরিশেষে, সকল প্রকার বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেগবান হোক উক্ত সমিতি, এর উত্তরোত্তর উন্নতি ও সফলতা কামনা করছি।