বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে ১০ লাখ রুপি জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ টাকা।
জানা গেছে, একটি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিযোগটি করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের দাম নিয়ে, এমনকি ফিচার্স নিয়েও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অমিতাভের ওপর।
ফ্লিপকার্টের-এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জরিমানা ঘোষণা করেছে ‘দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডস’। অভিযোগ অনুযায়ী, ফ্লিপকার্ট ও অমিতাভকে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।
সাধারণত এ বিজ্ঞাপনগুলো গ্রাহকদের আকর্ষণ করার জন্য কোনো বড় তারকার মুখকে ব্যবহার করেন বিপুল অর্থের টাকার বিনিময়ে। তবে এ টাকার বিনিময়ে সাধারণত সেই ব্যান্ডের গুণমান যাচাই করেন না তারকারা।
ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অভিযোগ, এ বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই না করলে, বিজ্ঞাপনের দায় নিতে হবে অমিতাভকেও, এমনটাই দাবি। সেকশন ২ (৪৭)-এর ধারায় অমিতাভের নামে মামলা রুজু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অমিতাভ বা ফ্লিপকার্ট কারও পক্ষ থেকে থেকেই কোনোরকম মন্তব্য কিংবা বক্তব্য শোনা যায়নি।
সিএআইটি কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এই বিজ্ঞাপনটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। যাতে দেশের অফলাইন খুচরা ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞাপনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স সিসিপিএ-কে ফ্লিপকার্ট এবং অমিতাভ বচ্চনকে জরিমানা করার অনুরোধ করেছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনে ডিল এবং ডিসকাউন্ট অফলাইন স্টোরগুলোতে পাওয়া যায় না, কেবল ফ্লিপকার্টে পাওয়া যায়, অমিতাভ বচ্চন এই কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।