23 C
Bangladesh
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

জাতীয় দাঁত ব্যথা দিবসে দাঁতের যত্ন নিয়ে

স্বাস্থ্যজাতীয় দাঁত ব্যথা দিবসে দাঁতের যত্ন নিয়ে

একজন ব্যক্তির সৌন্দর্যের অনেকাংশই নির্ভর করে সুন্দর হাসির ওপর। আর এই সুন্দর এই হাসির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থবহন করে সুস্থ ও সুন্দর দাঁত। এজন্য দাঁতের যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন হয়ে দেখা দিয়েছে অনেক আগে থেকেই। দাঁতের কি কি সমস্যা হতে পারে? যেমন, দাঁত হলুদ হয়ে যাওয়া, মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতে প্রচুর ব্যথা হওয়া, অল্প বয়সেই দাঁত পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় আমাদের অনেকটা দাঁতময় জীবনে। এর জন্য দরকার সঠিক উপায়ে ও সঠিক সময়ে দাঁতের যত্ন নেওয়া।

উপায় গুলো জানার আগে আমরা জেনে নেই কিভাবে দাঁতের ব্যথা হয় –

খাবারের পর আমাদের দাঁতের ভিতর খাদ্যকণা জমে থাকে। এসব খাদ্যকণা মুখের মধ্যে থাকা নানা ব্যাকটেরিয়া বা ওরাল ফ্লোরাস এর বংশবৃদ্ধির জন্য খুবই উপযুক্ত একটি জায়গা। আর এর ফলে এতে করে আমাদের ঐ খাদ্যকণাগুলো যখন জীবানু দ্বারা ভরে যায় আর সংক্রামক হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে তখন থেকে আমাদের দাঁত ব্যথার সূচনালগ্ন শুরু। নির্দিষ্ট সময়ে ঐ খাদ্যকণার পচন ধরে ও ল্যাকটিক এসিড নির্গত হয়। এর ফলে কথা বলতে গেলেই মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে আর দাঁতের এনামেল ও ডেন্টিনকে ধীরে ধীরে ক্ষয় করতে থাকে। এর ফলে দাঁতে গর্ত বা ক্যাভিটি হয়। আর বিশেষ করে যদি আঠালো, শর্করা ও মিষ্টিজাতীয় খাবারা আটকায় তাহলে তো কথাই নেই।

আরো পড়ুন:  তামিলনাড়ুতে কোভিড কেস: চার মাস পরে নতুন সংক্রমণ 1,000-চিহ্ন লঙ্ঘন করেছে

এ জন্য আমাদের দাঁতের যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে, পাশাপাশি ফ্লশ বা সুতা দিয়ে দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাদ্যকণাগুলো বের করে ফেলতে হবে।

আরো পড়ুন:  দুধ কেনো খাবেন, দুধের উপকারিতা কি? আসুন জেনে নিই

সুস্থ্য দাঁতের জন্য করণীয়

১. বছরে অন্তত দুবার একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

২. যেসব খাস্য দাঁতের সাথে খুব সহজেই আটকে থাকে সেইসব খাবার খাওয়া কমিয়ে আনতে হবে। যেমনঃ চকলেট, চুইংগাম, বিস্কুট, ফাস্টফুড, মিষ্টি ইত্যাদি। এছাড়াও, টকজাতীয় খাবার, যেমন- লেবু, তেঁতুল খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। এমনকি কোমল পানীয় যত কম খাওয়া যায় ততই দাঁতের জন্য ভালো।

আরো পড়ুন:  রমজানে স্বাস্থ্য ভালো রাখবেন যেভাবে

৩. ধূমপান, জর্দা, পান-সুপারি, তামাক ও গুল এড়িয়ে চলতে হবে।

৪. শূন্য থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য ফ্লোরাইডমুক্ত পেস্ট, ৫-১২ বছরের শিশুদের জন্য ৫০০ পিপিএম ফ্লোরাইড থাকতে হবে এবং ১২ বছরের উপরের বয়সের মানুষদের জন্য ১০০০ পিপিএম ফ্লোরাইড থাকতে হবে।

এই ক্যাম্পাস/এএবি

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles