24 C
Bangladesh
বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪

গণহারে ফেল করানোয় রাজশাহীতে মানবন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গণহারে ফেল করানোয় রাজশাহীতে মানবন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা 

করোনাকালীন সময়ে সীমিত সিলেবাস প্রণয়ন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের জন্য। কিন্তু এই সিলেবাসে পরীক্ষা নেওয়ার পর রেজাল্ট দেখে শিক্ষার্থীরা হতাশ। একদম বলতে গেলে গণহারে তাদের ফেল করানো হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীরা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মাবনবন্ধন করেছে রাজশাহীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধ্যয়নরত ক্ষোভ প্রকাশ করা সেইসব শিক্ষার্থীরা। রাজশাহী সাহেব বাজার এলাকার জিরো পয়েন্টে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে যোগ দেন। তারা বলেন, এক মাসের মধ্যে এই অকৃতকার্য বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে এবং তাদের শেষ বর্ষে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।

আরো পড়ুন:  জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ২য় ও ৩য় বর্ষ পরীক্ষার সংশোধিত রুটিন প্রকাশ

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থীদের ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সীমিত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ২৭টি বিভাগে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৬০ হাজার ৬৩ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছেন ২৭ হাজার ৩৬০ জন। আর রাজশাহী কলেজের ৮ বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১ হাজার ৪৫৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন মাত্র ১৯৯ জন। গণহারে এ ফেল শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছেন না। এ ফলাফল অবিশ্বাস্য। তাঁরা বলছেন, দুই বছর করোনা পরিস্থিতিসহ তাঁরা চার বছরের সেশনজটে পড়েছেন।

আরো পড়ুন:  তিনশো শিক্ষার্থী নিয়ে তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির কর্মশালা

মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়েছিলেন। তাতে এ ফলাফলকে বৈষম্যমূলক বলা হয়েছে। ‘গণহারে ফেলের ফলাফল মানি না’ ইত্যাদি কথা লেখা ছিল।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. সুইট, আফসানা আক্তার, মো. সুমন, হেলাল উদ্দিন, প্রদীপ কুমার, আল আমীন, আসিফা খাতুন প্রমুখ। তাঁরা বলেন, তাঁরা সবাই হতাশায় ভুগছেন। তাঁদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে। তাঁরা এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আরো পড়ুন:  ঢাবি কেন করোনার টিকা আবিষ্কার করতে পারেনি, উপাচার্য কি জানালেন?

বক্তারা আরও বলেন, মাস্টার্স প্রথম পর্বের ফলাফল কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কাজে লাগে না। এ জন্য শেষ বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়া লাগে। তাঁদের শেষ বর্ষে যেকোনো শর্তে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে ফি ছাড়া সীমিত সিলেবাসে পুনরায় অকৃতকার্য বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

এই ক্যাম্পাস/এএবি

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles