28 C
Bangladesh
মঙ্গলবার, জুলাই ২৩, ২০২৪
Home Blog

রাবিতে মানিকগঞ্জ জেলা সমিতির নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নতুন কমিটি ঘোষণা 

বামে জহিরুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক) এবং ডানে আব্রাহাম হোসেন রাহাত (কোষাধ্যক্ষ)
বামে জহিরুল ইসলাম (সাধারণ সম্পাদক) এবং ডানে আব্রাহাম হোসেন রাহাত (কোষাধ্যক্ষ)

মানিকগঞ্জ জেলা সমিতি, রাজশাহীর আয়োজনে নবীন বরণ, বিদায় সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় গত ১০ নভেম্বর ২০২৩। উক্ত অনুষ্ঠানে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।

“অনুষ্ঠানে সভাপতি  ও সহ সভাপতির পদ স্যারদের মধ্যেই অপরিবর্তিত রেখে জহিরুল ইসলাম (উর্দু, ২০২০-২১) কে সাধারণ সম্পাদক এবং আব্রাহাম হোসেন রাহাত (সিএসই) কে কোষাধ্যক্ষ করে ৩৫ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রাজশাহী জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব শামীম আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কল্যাণ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), রাজশাহী। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির সম্মানিত উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ড. দুলাল চন্দ্র রায়, অধ্যাপক – পরিসংখ্যান বিভাগ ও পরিচালক – আইকিউএসি; ড. রেজাউল করিম, অধ্যাপক ও সভাপতি – পরিসংখ্যান বিভাগ; ড. মোঃ আলী হোসেন, অধ্যাপক – সিএসই, রুয়েট এবং মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক – আইএসএলএম; অভিজিৎ রায়, সহযোগী অধ্যাপক – নৃবিজ্ঞান বিভাগ এবং অ্যালামনাই সদস্য উৎপল শিকদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ড. মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক – ফার্মেসি বিভাগ। 

 

অনুষ্টানের শুরুতেই জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে রাবিতে নতুন ভর্তি হওয়া মানিকগঞ্জের মানিকদের বরণ করে নেয়া হয় মানিকগঞ্জ জেলা সমিতি। এর শুরুতেই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক পর্ব শুরু করা হয়। এরপর নবীনরা নতুন জায়গায় আসার অনূভুতি ও রাবিতে ভর্তি হওয়ার অনূভুতি প্রকাশ করে  এবং বিদায়ীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে। এ পর্বের পর অতিথিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এরপর নবীনদের ফুল এবং শিক্ষা উপকরণ দিয়ে বরণ করে নেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এবং উপদেষ্টা মন্ডলী। এরপর তারা বিদায়ীদের হাতে ফুল এবং ক্রেস্ট তুলে দেন। 

 

এরপর অনুষ্ঠানে সভাপতি  ও সহ সভাপতির পদ স্যারদের মধ্যেই অপরিবর্তিত রেখে জহিরুল ইসলাম (উর্দু, ২০২০-২১) কে সাধারণ সম্পাদক এবং আব্রাহাম হোসেন রাহাত (সিএসই) কে কোষাধ্যক্ষ করে ৩৫ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

 

এরপর জমকালো সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। নাচ, গান, কবিতা ও অভিনয় নিয়ে হাজির হয় সমিতির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। মানিকগঞ্জের মানিকরা তাদের প্রতিভা দেখিয়েছে সাংস্কৃতিক পর্বে বিভিন্ন পারফর্মেন্স করার মধ্য দিয়ে।  রাতের খাবার প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় হলেও অনুষ্টানের শেষটা ছিলো চোখে পড়ার মতো সুন্দর।

ইসলামের দৃষ্টিতে কাদের বিয়ে করা যায় আর কাদের বিয়ে করা যায় না

পুরুষ যেসব নারী বিয়ে করতে পারবে না: পুরুষদের জন্য ১৪ শ্রেণির নারীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ এবং তাদের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ। কিন্তু এসব নারী ছাড়া অন্য নারীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা পুরুষদের জন্য বৈধ নয়। তবে ইসলামী শরিয়তের শর্ত মোতাবেক তাদের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ।

ওই ১৪ শ্রেণির নারী যথাক্রমে—(১) মা। (২) আপন দাদি, নানি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা। (৩) সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৪) আপন মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান ও আপন ছেলেসন্তানদের স্ত্রী। (৫) যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন সংঘটিত হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর কন্যাসন্তান এবং স্ত্রীর মা—অর্থাৎ শাশুড়ি, নানি শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি। (৬) ফুফু—অর্থাৎ পিতার সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৭) খালা—অর্থাৎ মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৮) ভাতিজি—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান। (৯) ভাগ্নি—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান। (১০) দুধসম্পর্কীয় মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, ছেলের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কোনো কন্যাসন্তান এবং দুধসম্পর্কীয় ছেলের স্ত্রী। (১১) দুধসম্পর্কীয় মা, খালা, ফুফু, নানি, দাদি ও তাদের ঊর্ধ্বতন মহিলারা। (১২) দুধসম্পর্কীয় বোন, দুধবোনের মেয়ে, দুধভাইয়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান। (১৩) যৌনশক্তিহীন এমন বৃদ্ধা, যার প্রতি পুরুষের কোনো প্রকার আকর্ষণ নেই। (১৪) অপ্রাপ্তবয়স্ক এমন বালিকা, যার প্রতি পুরুষের এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি। উল্লেখ্য, ১৩ ও ১৪ নম্বরে বর্ণিত মেয়েদের সঙ্গে বিয়ে জায়েজ আছে। উপরোক্ত নারীরা ছাড়া পুরুষের জন্য অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ জায়েজ নয়। (সুরা নিসা, আয়াত : ২৩; তাফসিরে মাজহারি : ২/২৫৪)

নারীরা কোন কোন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকা ও আলোচনা।

যেসব পুরুষের সঙ্গে নারীদের বিয়ে বৈধ নয়: নারী এমন ১৪ শ্রেণির পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবে, যাদের সঙ্গে তাদের বিবাহ নিষিদ্ধ। যথা : (১) পিতা, দাদা, নানা ও তাঁদের ঊর্ধ্বতন পুরুষরা। (২) সহোদর ভাই, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই। (৩) শ্বশুর, আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর এবং তাঁদের ঊর্ধ্বতন পুরুষরা। (৪) ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরসজাত পুত্রসন্তান। (৫) স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র। (৬) ভাতিজা—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলে ও তাদের অধস্তন কোনো ছেলে। (৭) ভাগিনা—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের ছেলে ও তাদের অধস্তন কোনো ছেলে। (৮) চাচা—অর্থাৎ বাপের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই। (৯) মামা—অর্থাৎ মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই। (১০) দুধসম্পর্কীয় ছেলে, ছেলের ছেলে, দুধসম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরসজাত যেকোনো পুত্রসন্তান এবং দুধসম্পর্কীয় মেয়েদের স্বামী। (১১) দুধসম্পর্কীয় বাপ, চাচা, মামা, দাদা, নানা ও তাদের ঊর্ধ্বতন পুরুষ। (১২) দুধসম্পর্কীয় ভাই, দুধভাইয়ের ছেলে, দুধবোনের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যেকোনো পুত্রসন্তান। (১৩) যৌনশক্তিহীন এমন বৃদ্ধ, যার মহিলাদের প্রতি কোনো আকর্ষণ নেই এবং তার প্রতি মহিলাদেরও কোনো আকর্ষণ নেই। (১৪) অপ্রাপ্তবয়স্ক এমন বালক, যার এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি। উল্লেখ্য, ১৩ ও ১৪ নম্বরে বর্ণিত পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে জায়েজ আছে।

ইসলামে বহুবিবাহ:

ইসলামী জীবন

প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০
একাধিক বিয়ে ও ইসলামের বিধান
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

একাধিক বিয়ে ও ইসলামের বিধান

ইসলামী শরিয়তে পুরুষের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। কিন্তু এটি কিছুতেই শর্তহীন নয়। বরং ভরণপোষণ, আবাসন ও শয্যাযাপনের ক্ষেত্রে শতভাগ সমতাবিধান নিশ্চিত করা না গেলে একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ বৈধ নয়। তবে হ্যাঁ, স্ত্রী বা নারীদের ক্ষেত্রে এই অবকাশ রয়েছে যে তিনি আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ইদ্দত শেষে অন্য স্বামী গ্রহণ করতে পারবেন।

পুরুষের ক্ষেত্রে একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের বৈধতা প্রসঙ্গে কোরআনের বক্তব্য এমন : ‘…তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)…।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩)

ইসলামে বিয়ে নিয়ে কি নির্দেশ দেওয়া আছে? ইসলামে বিয়ের নিয়ম ও বিধান-শর্ত

বিয়ে আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ও রাসুল (সা.) এর গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। চারিত্রিক অবক্ষয় রোধের অনুপম হাতিয়ার। আদর্শ পরিবার গঠন, মানুষের জৈবিক চাহিদাপূরণ ও মানবিক প্রশান্তি লাভের প্রধান উপকরণ। বিয়ে ইসলামী শরিয়তের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো— তিনি তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জীবনসঙ্গিনী, যাতে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পারো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। ’ (সুরা রুম, আয়াত :২১)

ইসলামে বিয়ের রুকন বা মৌলিক ভিত্তি
এক. বর-কনে উভয়ে বিয়ে সংঘটিত হওয়ার ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হওয়া।

দুই. ইজাব বা প্রস্তাবনা: এটি হচ্ছে বরের কাছে মেয়ের অভিভাবক বা তার প্রতিনিধির পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব উপস্থান করা।

যেমন, ‘আমি অমুককে তোমার কাছে বিয়ে দিলাম’ অথবা এ ধরনের অন্য কোনভাবে প্রস্তাব পেশ করা।
তিন: কবুল বা গ্রহণ করা: এটি বর বা তার প্রতিনিধির সম্মতিসূচক বাক্য।

যেমন, ‘আমি কবুল বা গ্রহণ করলাম’ ইত্যাদি।

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত:

(১) বর-কনে উভয়কে গ্রহণযোগ্যভাবে নির্দিষ্ট করে নেয়া।

(২) বর-কনে একে অন্যের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘স্বামীহারা নারী (বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা)-কে তার সিদ্ধান্ত ছাড়া (অর্থাৎ পরিষ্কারভাবে তাকে বলে তার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না। কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) ছাড়া বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব? তিনি বললেন, চুপ করে (লজ্জার দরুন) থাকাটাই তার সম্মতি। ’ (বুখারি, হাদিস নং : ৪৭৪১)
(৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও (সুরা নুর, ২৪:৩২)।

রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। ’ (তিরমিজি, হাদিস নং : ১০২১)

(৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই। ’ (সহিহ জামে, হাদিস নং : ৭৫৫৮)

সাক্ষী এমন দুইজন পুরুষ (স্বাধীন) সাক্ষী বা একজন পুরুষ (স্বাধীন) ও দুইজন মহিলা সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ-দুররুল মুখতার-৩/৯; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬৮)

বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করাও জরুরি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ১০৭২)

কনের অভিভাবক হওয়ার জন্য শর্ত:
১. সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন হওয়া।
২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া।
৩. দাসত্বের শৃঙ্খল হতে মুক্ত হওয়া।
৪.অভিভাবক কনের ধর্মানুসারী হওয়া। সুতরাং কোনো অমুসলিম ব্যক্তি মুসলিম নর-নারীর অভিভাবক হতে পারবে না।

৫. ন্যায়পরায়ণ হওয়া। অর্থাৎ ফাসেক না হওয়া। কিছু কিছু আলেম এ শর্তটি আরোপ করেছেন। অন্যেরা বাহ্যিক ‘আদালত’কে (ধর্মভীরুতা) যথেষ্ট বলেছেন। আবার কারো কারো মতে, যাকে তিনি বিয়ে দিচ্ছেন তার কল্যাণ বিবেচনা করার মত যোগ্যতা থাকলেও চলবে।

৬.পুরুষ হওয়া। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘এক নারী অন্য নারীকে বিয়ে দিতে পারবে না। অথবা নারী নিজে নিজেকে বিয়ে দিতে পারবে না। ব্যভিচারিনী নিজে নিজেকে বিয়ে দেয়। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৭৮২; সহিহ জামে : ৭২৯৮)

৭. বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের ‘কুফু’ বা সমতা ও অন্যান্য কল্যাণের দিক বিবেচনা করতে পারার যোগ্যতাবান হওয়া।
ফিকাহবিদরা অভিভাবকদের ধারা নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং কাছের অভিভাবক থাকতে দূরের অভিভাবকের অভিভাবকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়। কাছের অভিভাবক না থাকলে দূরের অভিভাবক গ্রহণযোগ্য হবে।।

সরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে ৯ম–২০তম গ্রেডে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে দুই ক্যাটাগরির পদে ৯ম ও ২০তম গ্রেডে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের সরাসরি বা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে।

  • ১. পদের নাম: প্রকাশনা কর্মকর্তা
    পদসংখ্যা:
    যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা, গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান, ইংরেজি বা এ ধরনের বিষয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টার্সসহ প্রকাশনা কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
    বয়সসীমা: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
    বেতন স্কেল: ২২,০০০–৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড–৯)
  • ২. পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী
    পদসংখ্যা:
    যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
    বয়সসীমা: ১২ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
    বেতন স্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের পূর্ণ জীবনবৃত্তান্ত, সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্র/ জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি, নাগরিকত্ব সনদপত্র, সদ্য তোলা তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড অফিসারের দেওয়া চারিত্রিক সনদপত্রসহ আবেদনপত্র মহাপরিচালক, বিআইআইএসএস বরাবর সরাসরি বা ডাকযোগে পাঠাতে হবে।

আবেদন ফি
পরীক্ষার ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ৬০০ টাকা ও ২ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা (অফেরতযোগ্য) পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট বিআইআইএসএস বরাবর জমা দিতে হবে। পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফটের মূল কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: উপপরিচালক (প্রশাসন), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস), ১/৪৬, পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড, রমনা, ঢাকা-১০০০।

আবেদনের শেষ সময়: ১ নম্বর পদের জন্য ১৯ অক্টোবর ও ২ নম্বর পদের জন্য ১২ অক্টোবর ২০২৩।

আট ব্যাংকের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের অন্তর্ভুক্ত আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ‘সিনিয়র অফিসার (জেনারেল)’ পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সূচি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালভিত্তিক ‘সিনিয়র অফিসারের (জেনারেল)’ ১ হাজার ৬৯টি পদে সমন্বিতভাবে নিয়োগের জন্য গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ২৫৯ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা ১৫ অক্টোবর শুরু হবে।

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মৌখিক পরীক্ষা চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মৌখিক পরীক্ষার জন্য নতুনভাবে প্রবেশপত্র ইস্যু করা হবে না। লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্রই মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিবেচিত হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এই লিংকে পাওয়া যাবে।

আটটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ১ হাজার ৬৯টি সিনিয়র অফিসার (জেনারেল) পদের মধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ১৪৩টি, জনতা ব্যাংক লিমিটেডে ১৯৭টি, রূপালী ব্যাংক লিমিটেডে ৬৮টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডে ৪টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ৫৩৯টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২২টি, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকে ৬২টি, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ৭টি ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে ২৭টি পদ রয়েছে

চাকরির খবর: বেসরকারি সংস্থায় ৬০ হাজার টাকার উপরে বেতনে চাকরি

বেসরকারি সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে একটি প্রকল্পে প্রকল্প ব্যবস্থাপক পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত সিভির ফরম্যাট পূরণ করে ই-মেইলে আবেদন পাঠাতে হবে।

  • পদের নাম: প্রকল্প ব্যবস্থাপক
    পদসংখ্যা:
    যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশুপালন বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। কোনো বেসরকারি সংস্থায় একই ধরনের পদে ন্যূনতম দুই বছর কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কর্মসূচির পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, কাজ বাস্তবায়ন, ডকুমেন্টেশন ও রিপোর্টিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতাসহ এমএস অফিস অ্যাপ্লিকেশনের কাজ জানতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। নারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কোস্ট ফাউন্ডেশনের কর্মীও আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন যেভাবে
আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। একই লিংক থেকে নির্ধারিত সিভির ফরম্যাট ডাউনলোডের পর তা পূরণ করে পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবিসহ hr@coastbd.net এই ঠিকানায় ই-মেইল করতে হবে। মেইলের সাবজেক্টে পদের নাম উল্লেখ করতে হবে।

রণবীর কাপুরকে তলব করেছে ইডি, মহাদেব বেটিং দুর্নীতিতে শুক্রবার জেরা করা হবে বলে জানা গেছে

মহাদেব বেটিং দুর্নীতি মামলাতেই এই তলব বলে জানা গিয়েছে। কেবল রণবীর নন, জানা গিয়েছে, আরও একাধিক তারকাও নাকি ইডির আতসকাচের তলায় রয়েছেন এই একই দুর্নীতি মামলায়।

ইডির তলব রণবীর কাপুরকে। বলিউডের প্রথম সারির একাধিক তারকা ইতিমধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ঋষি-পুত্রের নাম।

আগামী ৬ অক্টোবর, শুক্রবার ইডির অফিসে তলব করা হয়েছে রণবীরকে। মহাদেব বেটিং দুর্নীতি মামলাতেই এই তলব বলে জানা গিয়েছে। কেবল রণবীর নন, জানা গিয়েছে, আরও একাধিক তারকাও নাকি ইডির আতসকাচের তলায় রয়েছেন এই একই দুর্নীতি মামলায়।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাদেব অনলাইন বেটিং অ্যাপের কর্ণধারের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং হাওয়ালা অপারেশনের যোগসূত্র রয়েছে তো বটেই, এর পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গেও সংযোগ রয়েছে।

কি কারনে মাঝরাতেই সালমনের বাড়িতে হাজির অরিজিৎ সিং?

বুধবার রাতে বলিউডের ভাইজান সালমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হলেন অরিজিৎ সিং৷ তবে কি দীর্ঘ ৯ বছরের মান-অভিমান মিটল৷

বুধবার রাতে বলিউডের ভাইজান সালমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হলেন অরিজিৎ সিং৷ তবে কি দীর্ঘ ৯ বছরের মান-অভিমান মিটল৷ সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

সালমন খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকছেন অরিজিৎ সিং সেই ভিডিও নিয়েই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া৷ খবর ছড়িয়ে পড়তেই সলমন ও অরিজিৎ ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে৷ বরফ গলে কি জল হল তা নিয়ে চলছে জোরদার চর্চা৷
ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে৷ যার ক্যাপশনও বেশ নজরকাড়া৷ সেখানে লেখা রয়েছে, অরিজিৎ সিং সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমন্টে, কী ঘটতে চলেছে৷ শেষপর্যন্ত কী ভাইজানের সঙ্গে দেখা যাবে বাংলার ছেলে অরিজিৎ সিং-কে৷
অরিজিৎ ও সালমনের সমস্যার কথা কারোরই অজানা নয়৷ ২০১৪ সালে অরিজিৎ যখন নিজের কেরিয়ার গড়তে লড়াই করছেন তখনই ঝামেলার সূত্রপাত৷ সেরা গায়কের পুরস্কার ঘোষণার পর মঞ্চে আসতে দেরি করেন অরিজিৎ৷
ক্যাজুয়াল পোশাকে ঘুম চোখে পুরস্কার নিতে ওঠার পরেই সলমন অরিজিৎকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘ঘুমিয়ে গিয়েছিলে?’ যার উত্তরে মজা করেই গায়ক বলেছিলেন, ‘কী আর করব, আপনারই ঘুম পাড়িয়ে দিলেন৷’

যা শুনে সালমনের মনে হয়েছিল তাঁর সঞ্চালনা নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করেছেন অরিজিৎ সিং৷ সালমনও পাল্টা বলেন, ‘এরকম গান গাইলে লোকে ঘুমিয়েই যাবে৷’

সেই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ ৯ বছর৷ কখনওই সালমনের ছবিতে গান গাইতে দেখা যায়নি অরিজিৎ সিংকে৷ এত বছর পর অভিনেতার বাড়িতে অরিজিৎকে দেখেই জল্পনা তুঙ্গে৷

তবে কি আপকামিং ছবি ‘টাইগার ৩’- ছবিতে গান গাইবেন অরিজিৎ সিং৷ সেই কারণেই কি এত বছর পর রাতের বেলা ভাইজানের বাড়ি এলেন অরিজিৎ সিং৷ কারণ জানা না গেলেও সালমন-অরিজিৎকে একসঙ্গে দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ভক্তরা৷

অমিতাভ বচ্চনকে ১০ লাখ রুপি জরিমানা

বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে ১০ লাখ রুপি জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ টাকা।

জানা গেছে, একটি মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিযোগটি করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের দাম নিয়ে, এমনকি ফিচার্স নিয়েও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অমিতাভের ওপর।

ফ্লিপকার্টের-এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে জরিমানা ঘোষণা করেছে ‘দ্য কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডস’। অভিযোগ অনুযায়ী, ফ্লিপকার্ট ও অমিতাভকে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

সাধারণত এ বিজ্ঞাপনগুলো গ্রাহকদের আকর্ষণ করার জন্য কোনো বড় তারকার মুখকে ব্যবহার করেন বিপুল অর্থের টাকার বিনিময়ে। তবে এ টাকার বিনিময়ে সাধারণত সেই ব্যান্ডের গুণমান যাচাই করেন না তারকারা।

ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অভিযোগ, এ বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই না করলে, বিজ্ঞাপনের দায় নিতে হবে অমিতাভকেও, এমনটাই দাবি। সেকশন ২ (৪৭)-এর ধারায় অমিতাভের নামে মামলা রুজু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অমিতাভ বা ফ্লিপকার্ট কারও পক্ষ থেকে থেকেই কোনোরকম মন্তব্য কিংবা বক্তব্য শোনা যায়নি।

সিএআইটি কেন্দ্রীয় ভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের কাছে অবিলম্বে এই বিজ্ঞাপনটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। যাতে দেশের অফলাইন খুচরা ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞাপনের ফলে সৃষ্ট ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স সিসিপিএ-কে ফ্লিপকার্ট এবং অমিতাভ বচ্চনকে জরিমানা করার অনুরোধ করেছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনে ডিল এবং ডিসকাউন্ট অফলাইন স্টোরগুলোতে পাওয়া যায় না, কেবল ফ্লিপকার্টে পাওয়া যায়, অমিতাভ বচ্চন এই কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।

আফরান নিশোকে আমিই নিয়ে এসেছিলাম পর্দায়: অপূর্ব

টালিউডে প্রতিম ডি গুপ্ত পরিচালিত সিনেমা ‘চালচিত্র’র মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে অপূর্ব’র। বর্তমানে সিনেমার শুটিংয়েই কলকাতায় ব্যস্ত তিনি। প্রথম সিনেমায়ই খলচরিত্রে অভিনয় করছেন এই অভিনেতা।

শুটিংয়ের ফাঁকে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান ও বন্ধু আফরান নিশোকে নিয়ে কথা বলেছেন দেশের ছোট পর্দার অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।

কলকাতার অনেকেই নিশোকে অপূর্বের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। চেহারায় মিল থাকায় আফরান নিশোর মতো পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে কিনা?

এমন প্রশ্নের জবাবে অপূর্ব বলেন, নিশোকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। অনেক মানুষ ওকে অপূর্ব বলে ডাকত। ওকে বেশ ভুগতে হয়েছে এর জন্য।

থ্যাঙ্ক গড ও নিশো হয়ে উঠতে পেরেছে। আসলে নিশোকে আমিই নিয়ে এসেছিলাম পর্দায়।

ব্যক্তিগত জীবনে দুজনেই বেশ ভালো বন্ধু। আবার শোনা যায়, কাজের প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে নাকি তাদের মধ্যে ঠাণ্ডা যুদ্ধও চলে। সে কারণে নাকি তাদের মনোমালিন্য তৈরি হয়। একজন নাকি অন্যজনকে সহ্যও করতে পারেন না। সে বিষয়টি খোলাসা করেছেন অপূর্ব।

অপূর্ব বলেন, থ্যাঙ্ক গড ও নিশো হয়ে উঠতে পেরেছে। আসলে নিশোকে আমিই নিয়ে এসেছিলাম পর্দায়। অভিনেতা হওয়ার আগে থেকে আমরা ভালো বন্ধু। আমি যখন নাটক শুরু করি, তখনই রাকায়েত ভাইকে বলেছিলাম ওকে (নিশো) নাটকে নেওয়ার কথা। এরপর মাঝে সে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিল কিন্তু এখন আবারো পর্দায় কাজ শুরু করেছে।