ঈদুল আযহা আসলেই আমার মায়ের একটা কথা খুব মনে পড়ে , মায়ের কাছে গল্প শুনেছিলাম তাদের ছোট সময়ে নাকি তাদের অনেক গরু ছিলো।
নানা নাকি একেকটা গরু তার একেক জন সন্তানের নামে কিনতেন…. কুরবানীর সময় বিক্রির জন্য হাটে যখন নিয়ে যাওয়া হতো, সেগুলো খুব সাজিয়ে গুজিয়ে, আদর করে নিয়ে যাওয়া হতো,অমনি আম্মু মামারা নাকি কান্না করতো। এতো যত্ন করে লালন-পালন করা, মায়া মমতার বন্ধন তো আছেই।
নানার গোয়াল ভরা গরু যখন আস্তে আস্তে শূন্য হয়ে যেত… কোরবানির ঈদের আগের রাত নাকি নানা ঘুমাতে পারতেন না!! আবার যে গরু তারা কুরবানী করতে রাখতেন আমার আম্মু মামারা নাকি কোরবানি না হওয়া পর্যন্ত সেই গরুর গলা ধরে বসে থাকতেন!!
কি সুন্দর আবেগের খেলা.. কি নিস্পাপ সেই ভালোবাসা গুলো।
আমার মনে হয়, কোরবানির জন্য যারা তাদের পশু গুলোকে বিক্রি করেন তারাও কোরবানির ভাগীদার হয়ে যায়। এর থেকে বড় কোরবানি আর কি হতে পারে??
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক আমাদের জীবন,কুরবানি হোক মনের হিংসা, বিদ্বেষের! ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক। সবাইকে ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা।
“ঈদ মোবারক”
শারমিন সুলতানা
বিভাগ: চিত্রকলা,প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সেশন: ১৮ -১৯