সড়ক দুর্ঘটনা এখন বর্তমান সামাজের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতিদিন সারা দেশে কতই না দুর্ঘটনা হচ্ছে, তার সঠিক তথ্য আমাদের কাছে জানা নেই। কত মায়ের কোল খালি হচ্ছে, কত শিশু তার মাকে হারাচ্ছে, কত স্ত্রী তার স্বামী কে হারাচ্ছে তার কোন সঠিক হিসাব আমরা জানি না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এর জন্য আসলে কে দ্বায়ী? এর জন্য কি সরকার দ্বায়ী? নাকি সমাজের মানুষ দ্বায়ী? নাকি সমাজ ব্যবস্থা দ্বায়ী? নাকি রাষ্ট্রের কোন আমলারা দ্বায়ী?
এমন বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন উঠে মানুষের মনে। আর যখনই একটা খবর শুনতে পা আজ সড়ক দুর্ঘটনা দেশের অমুক স্থানে এতো জনের প্রাণ হারাতে হয়েছে! তখনই চোখের কোণে জল চলে আসে। সব কিছুর সত্ত্বেও আমাদের একটু সচেতনতা কমতে পারে সড়ক দুর্ঘটন।
প্রথমে আসি অনিয়ন্ত্রিত গতি, অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গাড়ি চালানো সড়ক দুর্ঘটনায় অন্যতম কারণ। আমরা সবাই কম বেশি জানি যে, গাড়ি চালালো জন্য রাস্তার পরিধি অনুযায়ী একটা নিদিষ্ট গতিসীমা দেওয়া আছে সব স্থানে কিন্তু সেটা সম্পর্কে সব চালক না জানার কারনে কিংবা জানলে ও সেটা না মেনে চলানোর কারনে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কোথাও সড়ক দুর্ঘটনা হলে পত্রিকা খবরে কিংবা ঘটনার তথ্য উদঘাটন করলে দেখা যায় যে, গাড়ী চালক দক্ষ নয় কিংবা যিনি চালক তিনি না চালিয়ে অন্যজনকে দিয়েছে। এই অদক্ষ চালক সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। অধিকাংশ গাড়ি চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে না একেবারে সরকারি কর্মকতা থেকে শুরু করে আমজনতা পর্যন্ত। এটা খুবই দুঃখ জনক।
অন্যদিকে রাস্তায় পাশে বিভিন্ন মালামাল রাখা,এই সমস্যা টা আপনার একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, বিশ্বরোড থেকে শুরু করে শহর এর ভিতরে কিংবা মফস্বল এলাকায় রাস্তার পাশ দিয়ে কত কিছু রেখে রাস্তা ব্লাক করে রেখেছে কিছু অংশ।
উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, শহরের রাস্তা গুলোতে আপনি একটু তাকালে দেখতে পাবেন অপরিকল্পিত গাড়ি পাকিং করা,ফুটপাতে দোকান,কনস্টাকশনের বালি,সুড়কি,পাথর ইত্যাদি মালামালে ভরপুর। গ্রামে যখন বর্ষাকাল শেষ হয় ধান তোলার মৌসুম হয় তখন রাস্তার মধ্যে ধান তুলে তারা প্রায় রাস্তা আটকে রেখে দেন। এভাবে সৃষ্টি হতে পারে দুর্ঘটনার কারন।
ট্রাফিক আইন না মানা বর্তমানে একটা বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। ট্রাফিক আইন মানতে চাই না কারন হয়তো কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আর নাহলে তার প্রশাসনিক ক্ষমতা আছে যার ফলে ট্রাফিক আইন না মানা ফলে রাস্তা ক্রোচিং কিংবা গতিসীমা বেশি থাকার কারনে দুর্ঘনা ঘটছে।
এছাড়া, প্রসাশনিক ভাবে প্রতি মাস ভিওিক যদি সারা দেশে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত ক্যাম্পেই করা যায় কিংবা সচেতনতা মুলক কোন ধরনের কর্মসুচী বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে এটা থেকে মানুষ সচেতন হয়ে উঠবে বলে। জনসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে সাথে সাথে বাড়ছে গাড়ির পরিমান কিন্তু বাড়ছে না রাস্তার পরিধি এজন্য রাস্তার পরিধি বাড়ানো জন্য পরিকল্পনা নেওয়া প্রয়োজন এবং সেভাবে যথাযথ বাস্তবায়ন করতে পারলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশার আলো দেখতে পারি।পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে পারলে আমাদের এই সমস্যা সমাধান হতে পারে।
“নিজেকে করি সচেতন, অন্যকে দেই মোটিভেশান,গড়ে উঠুক সুন্দর সমাজ, হয়ে উঠুক এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের”
শিক্ষার্থী: হোসাইন আলী,সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ