৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২। সকাল থেকেই সাধারণ দিনটাকে অসাধারণ বানানোর ঝোঁক ছিলো সবার। ক্লাসের ব্যবহারিক কাজের অংশ হিসেবে তৈরি করতে হবে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টি। কাটখোট্টা পাঠ ছেড়ে এ কাজে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত সবাই। সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস অনুষদের ৮ম ব্যাচের চিত্র এটি।
ক্যাম্পাসে মিষ্টিময় দুপুর
সাধারণত ভেটেরিনারিতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক অংশের প্রাধান্য বেশি থাকে। অন্যথায় জ্ঞান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেজন্য তত্ত্বীয় অংশের পাশাপাশি ব্যবহারিকে বেশি জোর দেন শিক্ষকরা। তারই অংশ হিসেবে ডেইরী প্রোডাক্টস টেকনোলজি কোর্সের অধীনে এ কাজ দেয়া হয়।
ক্যাম্পাসে মিষ্টিময় দুপুর
প্রস্তুতি পর্বের অংশ হিসেবে অনুষদীয় ডেইরী ফার্ম থেকে প্রয়োজনীয় দুধ সংগ্রহ করা হয়। এরপর পরীক্ষাগারে শুরু হয় মিষ্টি বানানোর তোড়জোড়। পূর্বেই পুরো ব্যাচকে চারটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। গ্রুপভিত্তিক টিমগুলোকে যথাক্রমে ক্ষীরের সন্দেশ, রসগোল্লা, কালো জাম, রসমালাই ও কাঁচা মরিচের মিষ্টি তৈরীর জন্য বলা হয়।
ক্যাম্পাসে মিষ্টিময় দুপুর
প্রতিটা গ্রুপ কাজ ভাগ করে নিয়ে মিষ্টি তৈরীর কাজ শুরু করে। টিমের সকল সদস্যরা (১০/১১ জন) এতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। ছেলে-মেয়ে সকলেই মিষ্টি তৈরীতে যথেষ্ট পারদর্শীতা দেখায়। সকাল সাড়ে দশটায় শুরু হয়ে দুপুর দুইটা নাগাদ কাজ শেষ হয়। পুরো সময়টা ছিল উৎসবমুখর। কেননা, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন হাতে-কলমে শিখছিল, তেমনি খাবার উপকরণ হওয়ায় তাদের আগ্রহও বেশি ছিল।
ক্যাম্পাসে মিষ্টিময় দুপুর
আয়োজনের শেষে অনুষদের শিক্ষকদের মাঝে তৈরীকৃত মিষ্টি পরিবেশন করা হয়। এ সময় তারা সকল মিষ্টির মান নিয়েই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তবে ডি গ্রুপের কাচা মরিচের মিষ্টি আলাদাভাবে সকলের নজর কাড়ে। এ বিষয়ে ঐ গ্রুপের সদস্য মো. রুমন হোসেন জানান, আমরা ব্যতিক্রম কিছু করতে চেয়েছিলাম। সেজন্য অতিরিক্ত হিসেবে এটা তৈরী করেছি। তবে কাচা মরিচের হলেও এটা স্বাদে মিষ্টিই, ঝাল নয়।
ক্যাম্পাসে মিষ্টিময় দুপুর
অনুষদের শিক্ষকেরা বলেন, ‘এতগুলো আইটেম একসাথে পূর্বে কোনো ব্যাচ করেনি। তোমরা অনেক ভালো করেছো। সব টিমের মিষ্টিই যথেষ্ট ভালো ছিল। সকলেই পরিশ্রম করেছো বলে তোমরা সফল হয়েছো। এটা দেখে তোমাদের অনুজরা অনুপ্রাণিত হবে।’
ক্যাম্পাসে মিষ্টিময় দুপুর
সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষক ডা: কাজী আল নোমান বলেন, ‘ব্যবহারিক জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে প্রতি ব্যাচেই এমন বিভিন্ন কাজ দেয়া হয়। করোনার কারণে কয়েকটা ব্যাচ সুযোগ পায়নি। তবে পূর্বে যেসব ব্যাচ করেছে, তাদের মাঝে তুলনামূলক ৮ম ব্যাচ বেশ ভালো করেছে। আশা করি, অন্য ব্যাচগুলো এ ধারা অব্যাহত রাখবে।’
লেখক: জিয়াউর রহমান শোভন