মেট্রোরেল পরিচালন ব্যয় থেকে শুরু করে মেট্রোরেলের সব খরচই বহন করবে কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছে এমরআরটি কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে ভাড়া দিয়েই পঁচাত্তর ভাগ খরচ উঠে আসবে। আর বাকি টাকা আসবে স্টেশন প্লাজা ভাড়া দিয়ে। এমনটাই আশা তাদের। এদিকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম নয়টি স্টেশনের সব কাজ শেষ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেহেতু লিফট সিঁড়িসহ ওঠানামার জায়গা নিয়ে যে জটিলতা হয়েছিল তা এখন পুরোপরি মিটে গেছে। তাই এসব এখন শুধু, এসব জায়গায় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ আছে, আর সময় লাগবে না।
তাই জুলাইয়ের মধ্যেই এ কর্মযজ্ঞ শেষ করতে চায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
এমআরটি লাইন-৬ এর ডিপিএম মাহফুজুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, নিচ থেকে ওপরে ওঠার জন্য সিঁড়ি, চলন্ত সিঁড়ি এবং লিফট লাগানোর প্রয়োজন সেগুলো নির্মাণ ও করা হচ্ছে, আশা করছি উদ্বোধনের পূর্বেই আমরা প্রবেশ এবং বাইরের কাজগুলোও করে ফেলতে পারব।
দেশের প্রথম মেট্রোরেলের ভাড়া এখনো নির্ধারণ না হলেও এর পরিচালন ব্যয় নিজেদের উপার্জনেই সারতে চায় এমআরটি। বলছেন, সাধ্যের মধ্যে রেখেই মোট ব্যয়ের চার ভাগের তিন ভাগই এখান থেকে তুলে আনা সম্ভব। বাকি টাকা স্টেশন প্লাজা ভাড়া দিয়ে তুলে আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, পরিচালন ব্যয় প্রতি বছর এক হাজার কোটি টাকা আসবে। ভাড়া দিয়েই ৭৫ ভাগ খরচ উঠে আসবে। আর বাকি টাকা আসবে স্টেশন প্লাজা ভাড়া দিয়ে।
স্বপ্নের এ প্রকল্প চালুর আগেই একটি নীতিমালা প্রকাশ করা হবে বলেও জানায় ডিএমটিসিএল।