সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মাংকিপক্স এর অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতি ছিলেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মো: ইকবাল হোসেন এবং রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ।
সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারী রিসার্চ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান আলোচক ছিলেন- মাইক্রাবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল। তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কে প্রথম মাংকিপক্স শনাক্ত হয়। এরপর ১৯৭০ সালে আফ্রিকাতে এর সন্ধান পাওয়া যায়। ২০২২ সালে ৪০টি দেশে এটি শনাক্ত হয়েছে। তবে এটি করোনার মতো ভয়াবহ নয়। এটির সংক্রমণ ধীরগতিতে হয়। আক্রান্ত লোকের সংস্পর্শে কেবল অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির বিছিন্ন থাকা, ভিটামিন সি গ্রহণ ও ফিটকিরি ব্যবহার এ রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা।
সেন্টার ফর মাল্টিডিসিপ্লিনারী রিসার্চ বিভাগের পরিচালক মোঃ তারিকুল ইসলাম, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানুসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকরা এতে অংশ নেন।
জানা যায়, মাংকিপক্সের একটি চলমান প্রাদুর্ভাব ২০২২ সালের ৬ মে নিশ্চিত করা হয়েছিল। এটি একজন ব্রিটিশ বাসিন্দা থেকে শুরু হয় যিনি নাইজেরিয়া ভ্রমণের পরে ২৯ এপ্রিল এ মাংকিপক্সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ লক্ষণগুলো প্রদর্শন করেন। ৪ মে তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে এসে দেশের সূচকের প্রাদুর্ভাবের ঘটনা তৈরি করেন।