29 C
Bangladesh
শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

গৌরব ও অগ্রযাত্রার ২৭ বছরে ডিআইইউ

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গৌরব ও অগ্রযাত্রার ২৭ বছরে ডিআইইউ
সাফল্য ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে ২৭ বছরে পর্দাপণ করলো ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল  ইউনিভার্সিটি। মানবিক মূল্যবোধে বিকশিত আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত পরিপূর্ণ মানুষ গড়ে তোলার অন্যতম লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই প্রতিষ্ঠান।
১৯৯৫ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান মরহুম প্রফেসর ড.এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারী।
আজ ৭ই এপ্রিল। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৯৫ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান প্রয়াত প্রফেসর ড. এবিএম মফিজুল ইসলাম পাটোয়ারীর হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ)।
তিনি দেশের প্রথিতযশা আইনের লেখক ও মানবাধিকার বিজ্ঞানী। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে শতাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করতে পেরেছে। তার মধ্যে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস এক একরের অধিক জায়গার উপর অবস্থিত।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের অধীনে দশটি বিভাগের কার্যক্রম সূচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে চারটি ডিপার্টমেন্টের একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। সেগুলো হলো ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, ফার্মেসি ও সিভিল ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগ। স্থায়ী ক্যাম্পাসটি সবুজে ঘেরা এক মনোরম পরিবেশে বেষ্টিত।
ব্শ্বিবিদ্যালয়টির বর্তমান বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (এমপি) এবং ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার শহীদুল কাদির পাটোয়ারী। তাদের দক্ষতায় অদম্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এছাড়া ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য এ্যাডভোকেট শাহেদ কামাল পাটোয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়টির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  হিসেবে কর্মরত আছেন  বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম । উপ-উপাচার্য হিসেবে কর্মরত আছেন ডুয়েট’র সিভিল বিভাগের  সাবেক অধ্যাপক ড. গনেশ চন্দ্র সাহা।
 বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি অনুষদের অধীনে দশটি বিভাগের কার্যক্রম সূচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে। প্রথম থেকে সপ্তম কনভোকেশন পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ছাত্র-ছাত্রী পাশ করে বেরিয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৬ হাজারের অধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা গ্রাজুয়েটরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামকরা অর্গানাইজেশনে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা শুধু একাডেমিক কার্যক্রমে নিজেদের মেধাকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কম্পিটিশন, ইনডোর গেমস, ইন্টারন্যাশনাল, ন্যাশনাল টুরের আয়োজন করছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বনানী, গ্রীন রোড এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস সাতারকুল বাড্ডাসহ তিনটি লাইব্রেরিতে প্রায় ৫০ হাজারের অধিক বই রয়েছে। বছরে দুবার জার্নাল অব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ তাদের গবেষণামূলক আর্টিকেল প্রকাশ করেন।
প্রতিষ্ঠাতার স্বপ্ন ছিল ঢাকা ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার। এদেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সেজন্য প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন বিভাগে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে বিদেশি ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় চার শতাধিক এর বেশি। উন্নত মানের শিক্ষা এবং দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার আত্মপ্রত্যয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সকল শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সকল ছাত্র-ছাত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ছাত্রছাত্রীদের আবাসনের জন্য সাতারকুলসহ ঢাকার নিকুঞ্জে রয়েছে আটটি হোস্টেল। বিশ্ববিদ্যাল বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও অন্যান্য দিবন সমূহ নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথভাবে পালন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য কর্তৃপক্ষ শাটল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে। ছাত্রছাত্রীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে হেলথ সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আরও রয়েছে আই কিউ এ সি সেল, টি সি আর সি সেল এবং হিউম্যান রাইস এন্ড এডভোকেসি সেল ইত্যাদি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগের সাবেক ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন এ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles