মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একধরনের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয়। বিভিন্ন ধরনের আইন সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে সাহায্য করে থাকে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানবজীবনে বাহ্যিক পরিবর্তন করে না বরং মানব সমাজের সামগ্রিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। সারা বিশ্বে আইনের শাসনে পরিবর্তন এসেছে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আইনের শাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আইনের শাসন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য সমাজে গণতন্ত্রের চর্চা অনিবার্য।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আইন অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় আইন সম্মেলনের প্রথমদিন অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আইন অনুষদ অডিটোরিয়ামে ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে আইন’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয়েছে এ আইন সম্মেলন। যা চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত দুই দিনব্যাপি এ আইন সম্মেলনে দেশি-বিদেশি প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৭০টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এছাড়া রয়েছেন ৩০জন প্যানেল স্পীকার।
চবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রকিবা নবী’র সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শরিফ ভূঁইয়া।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং সিনিয়র জেলা ও সেশন জজ ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার তার বক্তব্যে বলেন, আইনের শাসন আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে। আমি আশা করি দেশ ও জাতি এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আজকের এই আইন সম্মেলন ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।