কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘের ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী চলমান এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বৈশ্বিক শান্তির জন্য কৌশলগত যোগাযোগের মাধ্যমে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা’। কুবিতে ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি হয়।
কুবিতে ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন
হাসিন মাহতাব মাহিন ও ফাহমিদা তাসনিম তিন্নি’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ত্ব করেন কুবি ছায়া জাতিসংঘের মহাসচিব রহমান ফায়াজ। সমাপনী এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম আকন্দ এবং ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান। কুবিতে ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন
অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম আকন্দ বলেন, এই অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সমস্যা এবং সমাধান নিয়ে তোমরা বিস্তর আলোচনার সুযোগ পেয়েছ। যেখানে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মতো আকস্মিক ঘটনাবলী সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। আশাকরি এমন বাস্তবিক বিষয়াবলি আলোচনার মধ্যে দিয়ে তোমরা বাস্তবিক ঘটনাবলী সম্পর্কে আরও সুস্পষ্ট জ্ঞানলাভ করতে পারবে।
কুবিতে ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমি কখনো এইধরনের সেমিনারে অংশগ্রহণ করেনি৷ তাই অনেক ব্যাস্ততার মাঝেও ব্যাতিক্রমি এই অনুষ্ঠানটি মিস করতে চাইনি। কুবিতে ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন
এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। তারা বিভিন্ন কমিটিতে একেকজন কাজ করেছে। আমি প্রত্যাশা করি যখন তোমরা ফিরে যাবে তখন তোমাদের বাস্তবিক জীবনে এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবে।
কুবিতে ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন
তিনি আরও বলেন, আজকে তোমরা যারা শিক্ষার্থী তারাই আগামীদের কূটনীতিবিদ, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক হয়ে গড়ে উঠবে। এখান থেকে নেয়া শিক্ষা ও তোমাদের চিন্তাভাবনা জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজে দিবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘের মোট ১১০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কুবিতে ‘গেম অব ডিপ্লোম্যাসি-২২’ সম্পন্ন
প্রসঙ্গত, দুইদিনব্যাপী সম্মেলনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, ফিফা, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, জাতীয় সংসদসহ আন্তর্জাতিক প্রেস নিয়ে ছয়টি কমিটি কাজ করেছে। অংশগ্রহণকারী সদস্যরা বিতর্কের মাধ্যমে বিষয়সমূহের বৈশ্বিক সমাধান বের করেন।