কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠিত হয়।কুবিতে বাংলা বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠিত
মঙ্গলবার (৭ জুন) কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন বিভাগটির সহযোগী সংগঠন ভাষা ও সাহিত্য পরিষদ। এসময় বিদায়ী শিক্ষক ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।কুবিতে বাংলা বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠিত
বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান এবং কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম মাওলা। স্বাগত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শামসুজ্জামান মিলকী।কুবিতে বাংলা বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠিত
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ছাত্ররা কখনো বিদায় নেয় না। এই বিশ্ববিদ্যালয় তোমাদের, তোমরা আসবে, যেকোনো প্রোগ্রামে তোমরা অংশগ্রহণ করবে। তোমরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
তিনি আরও বলেন, এই প্রশাসন সর্বদা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের শিক্ষক নিয়োগ দিতে নিয়োজিত থাকবে। আমরা এমন কোনো শিক্ষক নিয়োগ দিবো না, যে আমার সন্তানকে পড়াতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সম্পদ। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যদি কেউ নষ্ট করার চেষ্টা করে সেটা ভেতর থেকে হোক বা বাহির থেকে আমি তাদের ডিফেন্ড করবো। যারা বিদায় নিচ্ছো তাদের জন্য শুভকামনা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘজীবী হোক এটা আমার স্লোগান না, আমার স্লোগান কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাক।কুবিতে বাংলা বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠিত
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আজকে মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে, আমরা যারা শিক্ষিত তারা চিত্তবান না হয়ে বিত্তবান হতে চাই। আমরা শিক্ষিত না হয়ে গৌরব চাই। আমরা সুখী না হয়ে ধনী হতে চাই। এই সংকট উত্তরণে আমাদের যেতে হবে মানবতার কাছে, সাহিত্যের কাছে। আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া, আপনারা সত্যিকার অর্থে চিত্তবান হবেন। আপনার শিক্ষিত হবেন, জ্ঞানী হবেন।কুবিতে বাংলা বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠিত
এসময় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যায় এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে বিভাগটি।