37.3 C
Bangladesh
বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪

জবিতে ‘মেঘ-মল্লার’ শিরোনামে প্রথম শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়জবিতে 'মেঘ-মল্লার' শিরোনামে প্রথম শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠান

পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখণ্ডে ও পণ্ডিত বিষ্ণু দিগম্বর পলুঙ্কুরকে স্মরণে ‘মেঘ-মল্লার’ শিরোনামে প্রথমবারের মতো শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি বিশিষ্ট এই দুই পণ্ডিতকে উৎসর্গ করা হয়৷

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. ঝুমুর আহমেদ -এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ।

আরো পড়ুন:  সংবাদ প্রকাশের জেরে উপাচার্যের রোষানলে সংবাদকর্মী

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দীন ও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, সংগীত বিভাগের উদ্যোগে বছরের বিভিন্ন দিবস ও দেশের প্রখ্যাতগুণী ব্যক্তিদের স্মরণে নানান রকমের সংগীতানুষ্ঠান করে থাকে। আর সংগীত জগতে প্রখ্যাত গুণীদের স্মরণে সংগীতই অন্যতম মাধ্যম। যেহেতু সংগীত বিভাগ সর্বদা সংগীত চর্চার করে থাকে তাই তাদের পরিবেশিত সংগীতের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য উচ্চতায় উত্থিত হবে।

আরো পড়ুন:  সিমাগো র‍্যাঙ্কিংয়ে ১১তম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ঝুমুর আহমেদ বলেন, চর্যাপদ যেমন আমাদের বাঙালি সাহিত্যের জন্য অমূল্য সম্পদ তেমনিভাবে পণ্ডিত ভাতখণ্ডে ও পন্ডিত পলুঙ্কুরদের মতো গুণীজনেরাও আমাদের কাছে অমূল্য সম্পদ। পণ্ডিত বিষ্ণু নারায়ণ ভাতখণ্ডে ও পণ্ডিত বিষ্ণু দিগম্বর পলুঙ্কুর ভারতীয় উপমহাদেশের সব সংগীত শিল্পীদের অধিকার আদায়ে ছিলেন বীরপুরুষ।

আরো পড়ুন:  জবিতে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

অনুষ্ঠানের আয়োজন সম্পর্কে তিনি বলেন, এই প্রথমবারের মত আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ কোনো শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান করতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমরা যদি পৃষ্ঠপোষকতা পাই তাহলে সংগীতাঙ্গনে হারিয়ে যাওয়া এ সকল পণ্ডিতদের স্মরণে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারব।

উল্লেখ, পন্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ছিলেন ভারতীয় রাগসঙ্গীতের স্বনামধন্য পণ্ডিত এবং নবতর স্বরলিপির উদ্ভাবক।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles