জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) বিএনসিসি প্লাটুনের ১৮ জন ক্যাডেটকে কর্পোরাল ও ল্যান্স কর্পোরালে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
জবি বিএনসিসি’র ক্যাডেটের পদোন্নতি
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) মুজিব মঞ্চের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বিএনসিসি’র পদোন্নতি প্রাপ্ত ৯ জন ক্যাডেট কর্পোরাল ও ৯ জন ল্যান্স কর্পোরালকে র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডেটদের মধ্যে থেকে অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতার উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর পদোন্নতিপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিধান করানো হয়।
জবি বিএনসিসি’র ক্যাডেটের পদোন্নতি
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বিএনসিসি ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিএনসিসি দেশের কাজে সবসময় পাশে থেকে আমাদের সহযোগিতা করে। এই বিএনসিসি দেশ গঠন ও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে এবং তাদের যে সুশৃঙ্খল প্রশিক্ষণ ও দক্ষ যে জনসমষ্টি আমরা এখান থেকে আশাকরি পাবো। আমি বিএনসিসি’র অগ্রগতি ও সাফল্য কামনা করি।’
জবি বিএনসিসি’র ক্যাডেটের পদোন্নতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বিএনসিসি স্বাধীনতার শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বিএনসিসি জাতির প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। বিএনসিসির এই ধারা দেশে ও দেশের বাইরে অব্যাহত থাকবে।’
জবি বিএনসিসি’র ক্যাডেটের পদোন্নতি
কোম্পানি কমান্ডার ও অফিসার ইনচার্জ পিইউও আতিয়ার রহমান বলেন, ‘নতুনরা কর্মে ও দক্ষতায় বিএনসিসি জবি প্লাটুনকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনবে।’
জবি বিএনসিসি’র ক্যাডেটের পদোন্নতি
এসময় উপস্থিত ছিলেন পিইউও মোঃ শফিকুল ইসলাম, পিইউও সাজিয়া আফরিন এবং সামরিক প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সার্জেন্ট মোঃ আলাল উদ্দিন।
জবি বিএনসিসি’র ক্যাডেটের পদোন্নতি
উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৫ সাল থেকে। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ‘১ বিএনসিসি ব্যাটালিয়ন রমনা রেজিমেন্টের’ অধীনে রয়েছে। এতে ৬টি প্লাটুন রয়েছে, যার মধ্যে ৩টি ছেলেদের ও ৩টি মেয়েদের। প্রত্যেক প্লাটুনে ৩৩ জন করে ক্যাডেট আছে।