সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শেখ হাসিনা হলের জানালা স্বচ্ছ কাচ ব্যবহার এবং রাস্তার পাশে হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ করেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
বিশেষত রাতের বেলায় কক্ষে বাহিরের দৃষ্টি এড়াতে জানালাগুলোতে পর্দা টাঙানোর কোনো ব্যবস্থা নেই।এমন পরিস্থিতিতে হলে অবস্থান করা কিংবা ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে বিব্রত আবাসিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এমনিতে হলটি হস্তান্তরে কতৃপক্ষ বছরের পর বছর নষ্ট করেছে। এখন হস্তান্তর হওয়ার পরে আমাদের ব্যাক্তিগত এবং সার্বিক নিরাপত্তার এই দশা। বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর।নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
সরেজমিনে দেখা যায়, আবাসিক হলটির দক্ষিণ পাশে রাস্তার পাশাপাশি রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট ও উঁচু বাড়িঘর। এছাড়াও উত্তর-পশ্চিম কোনে রয়েছে শিক্ষক ডরমেটরি। ফলে কক্ষের ভিতরের সকল কিছু দেখা যায় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
লোকপ্রশাসন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফাইজা মেহজাবিন বলেন, ‘প্রশাসনের বুঝা উচিত ছিলো এটা মেয়েদের হল। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা উচিত ছিলো। পর্দার ব্যবস্থা করা হবে সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি বাদ দিয়ে হল কেন উদ্বোধন করল বুঝতে পারলাম না।’নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
অর্থনীতি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষর্থী সাদিয়া আফরিন মোহনা বলেন, ‘যদি কালার থাই দেওয়া হত তাহলে ভিতরের কিছু দেখা যেত না। নিজেরা যে পর্দা লাগাবো, এটার পর্যন্ত কোনো সুযোগ নেই। রাতে আলো জ্বালালে বাহির থেকে সবকিছু দেখা যাবে। তাহলে প্রাইভেসি কোথায় থাকল?’নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেভাবে আমি কাজ শেষ করেছি। এখানে আমার করার কিছু ছিল না।’নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলী এস. এম শহীদুল হাসান জানান, টেন্ডারে যেভাবে প্লান ছিলো সেভাবে কাজ করা হয়েছে। এই সমস্যা থেকে ওভারকাম করার জন্য প্রস্টেট পেপার লাগানোর জন্য কত টাকা খরচ হবে উপাচার্য স্যার বাজেট করতে বলছেন।নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদেুর রহমান বলেন, ‘হস্তান্তর কমিটি এটা কিভাবে বুঝে নিয়েছে আমি জানি না। আমি জয়েন করার পর উপাচার্য স্যার যখন হল দেখতে আসেন তখন ব্যাপারটা তিনি দেখেছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৌশলীদের জানিয়েছেন। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে আবার কথা বলবো।’
নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
হস্তান্তর কমিটির আহ্বায়ক কাজী ওমর সদ্দিকী বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে বিল্ডিংয়ের কাজ সঠিক সময়ে শেষ করছে কিনা এবং সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা এসব দেখা। এটার গুণগত মান ঠিক আছে কিনা এটা আমার দেখার বিষয় না।’নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কুবির শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থীরা
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমি এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রস্টেট পেপার লাগাতে কত দিন সময় লাগবে জিজ্ঞেস করলে বলেন, এটা যদি আজকে পারা যায় তাহলে আজকের ভিতর করে দিবে। আশা করি বেশি দিন লাগবে না।