ফেসবুকে কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে হলের কক্ষে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার সঙ্গীত বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর নাম তিলেশ্বর রায়।
গত ২৩ আগস্ট (বুধবার) রাত সাড়ে দশটায় বঙ্গবন্ধু হলের ৪১৭ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থী নিজ বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের আলামিন শাহ, ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের সবুজ আহমেদ, ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের সাইফ, ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের রাহিদুল এবং রাহাতের নাম উল্লেখ করে বিভাগীয় প্রধান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, সঙ্গীত বিভাগের জুনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভাগের সিনিয়র আলামিন শাহ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিলে সেখানে ভুক্তভোগী তিলেশ্বর কমেন্ট করেন, “যেহেতু বিভাগের অভ্যন্তরীণ বিষয় তাই বিভাগের গ্রুপে পোস্ট দিলে ভালো হতো।” এরপর অভিযুক্ত আলামিন শাহ তিলেশ্বরকে ফোন দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। পরদিন তিলেশ্বরের পরীক্ষা থাকায় দেখা করতে দেড়ি হওয়ায় আলামিনের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে তিলেশ্বরের রুমে এসে সহপাঠীদের বের করে দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন।
এর আগেও আলামিনের মারধরের শিকার হয়েছেন একই বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ভবেষ রায়। তিনি বলেন, একদিন আমি রিকশায় যাওয়ার সময় আল-আমিন ভাই আমাকে ডেকেছিল কিন্তু আমি তা শুনতে পাইনি। এই ভুলের জন্য তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন এবং ক্যাম্পাসে থাকতে দিবেন না এমন হুমকি দেন।
এ বিষয়ে আল আমিন শাহ বলেন, তিলেশ্বর এবং আমি একই এলাকার। সে আমার এলাকার ছোট ভাই। এই ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত। আমি আমার ভুল স্বীকার করেছি।
এ বিষয়ে সঙ্গীত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জাহিদুল কবীর বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি কখনও কাম্য নয়। এ ব্যাপারে বিভাগে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় যারা নিয়োজিত আছেন তাদেরকে বিভাগ থেকে বিষয়টি অবহিত করা হবে।
এ ব্যাপারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদার জানান, ঘটনার রাতেই দুপক্ষকে নিয়ে বসেছি। আশা করছি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।