জানা গেছে, তারাপুর গ্রামের সঞ্জয় কুমার সরকারের বাড়ি সংলগ্ন একটি সরকারি রাস্তা রয়েছে। পাশের জমির মালিক নয়ন কুমার সরকার রাস্তাটি নিজের জমি দাবি করে আসছে। বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে রাস্তার মাটি কেটে নেন তিনি। এতে সে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে জনসাধারণের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ ঘটনায় সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় সরকারসহ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অন্যরা নয়নের এ কাজের প্রতিবাদ করেন। এ ঘটনায় গত ২ জুলাই এলাকার ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনায় বসেন। কিন্তু নয়নের একগুঁয়েমির কারণে বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন ও তার সমর্থিত লোকজন সঞ্জয় কুমারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেইসঙ্গে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
জিডিতে অন্যান্যদের মধ্যে অভিযুক্ত করা হয়, তারাপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আতিকুর রহমান (২৪), আইয়ুব আলীর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২), আনছার আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২২), নির্মল চন্দ্রের ছেলে জয়ন্ত কুমার (২২)।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। শুনেছি তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সঞ্জয় কুমার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, কয়েকজন মাদকাসক্ত আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এ নিয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। সুষ্ঠু বিচার না হলে পরবর্তীতে মামলা করবো।