বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের পাহারাদার রিয়াজ মোল্ল্যা অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন। রাত ১০টার পর হলে প্রবেশের জন্য প্রভোস্টের অনুমতির নিয়ম থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিনানুমতিতে রাত ১১টার পরেও অবাধে ছাত্রীদের হলে প্রবেশ করান পাহারাদার রিয়াজ মোল্ল্যা।
পাহারাদার রিয়াজ যেদিন গেটের দায়িত্বে থাকেন সেদিনই এমন অনিয়ম ঘটছে বলে জানা যায়। ২৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক ছাত্রীকে হলে প্রবেশ করতে দেখেন ঐ-সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা চপ্তরে থাকা তিনজন শিক্ষার্থী।
প্রত্যাক্ষদর্শী ঐ তিন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা প্রীতিলতা চপ্তরে দাঁড়িয়ে তিনজন গল্প করছিলেন। এমন সময় এক ছাত্রীকে তার এক বন্ধু এগিয়ে দিতে আসে হলের সামনে। রাতে হলের মেইনগেটে তালা দেওয়ার কথা থাকলেও গেট তালাবদ্ধ ছিল না। ঐ ছাত্রীর একও বান্ধবী এসে গেইট খুলে ভিতরে নিয়ে যান তাকে। তারা আরও বলেন গত ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতেও ১২টার পর এক ছাত্রীকে প্রবেশ করান রিয়াজ মোল্ল্যা।”
সংবাদ পেয়ে গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় শেখ হাসিনা হলের পাহারাদার রিয়াজ মোল্ল্যাকে জিজ্ঞাসা করলে প্রভোস্টের অনুমতি ছাড়ায় ঐ ছাত্রীকে হলে প্রবেশ করানোর বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। গত ২০সেপ্টেম্বর রাত ১২টার পর ছাত্রী প্রবেশের বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
জানা যায়, ঐ ছাত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আবাসিক হলেও শেখ হাসিনা হলের পাহারাদার রিয়াজ মোল্ল্যা নিয়মের ব্যত্যয় করে ছাত্রীকে প্রবেশের সুযোগ করে দেন।
প্রভোস্টের অনুমতি ছাড়ায় রাত ১২টার দিকে কীভাবে হলে প্রবেশ করছে ছাত্রীরা এবং তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে কেন এমন অনিয়ম ঘটছে এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি পাহারাদার রিয়াজ মোল্ল্যা উল্টো তিনি উত্তেজিত হয়ে যান। তিনি বলেন, “ঐ ছাত্রী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী ঐ হলে ঐদিকে দিয়ে যেতে সমস্যা হওয়ায় এদিক দিয়ে প্রবেশ করেছেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট রেহেনা পারভিনকে রাত ১২টায় কল করলে বলেন, রাতে সাড়ে নয়টার পর হলে প্রবেশের ক্ষেত্রে আবাসিক ছাত্রীদের অবশ্যই প্রভোস্ট বা হাউস টিউটরের অনুমতি নিতে হয়। আজকে কেউ আমাকে এ ব্যাপারে কল করে অনুমতি নেননি। অনুমতি ছাড়ায় পাহারাদার কীভাবে গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন ছাত্রীদের এই বিষয়ে অবশ্যই আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজ আলম বলেন, আমাদের ভিন্ন ভিন্ন হলের আলাদা প্রশাসন রয়েছে৷ বিষয়টি না জেনে কোন মন্তব্য করতে পারছি না৷ প্রক্টরকে বিষয়টি জানাবো৷”