গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী খানকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফার বিরুদ্ধে। এদিকে এ ঘটনায় ড. মোহাম্মদ আলী খান গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রবিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সভাপতির অফিস রুমে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ড. মোহাম্মদ আলী খান।
সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিভাগের সভাপতি আমাকে ফোন দেন যে আপনি একটু অফিসে আসেন। বিভাগের সভাপতির রুমে গিয়ে দেখি বিভাগের সভাপতি আছেন, কিছু সময় পরে সহকর্মী সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফাসহ অন্যান্য সহকর্মীরা আসেন। রুমে আসার পর সহকর্মী রিপন খলিফা সভাপতিকে বলেন, আমার প্রমোশন নিয়ে কারা ভিসিকে অভিযোগ দিয়েছেন। সভাপতি বলেন, আমি অভিযোগ দেয়নি। রিপন খলিফা বলেন, ভিসি মিথ্যা বলছে; না হয় আপনি মিথ্যা বলছেন। এদিকে সভাপতি বলেন, আপনার (আলী) পিএইচডি সার্টিফিকেটসহ সবকিছু সঠিক, আপনি সহযোগী অধ্যাপক প্রমোশনের যোগ্য। সভাপতি জানালেন আমার বিরুদ্ধে ভিসি স্যারের কাছে কে যেনো অভিযোগ করেছেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তিনি অফিস রুম থেকে চলে যান। এরপর আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, হুমকি-ধামকি, হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে, বিভাগের সভাপতি আমাদের ছাড়াতে আসেন। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করবো। এ বিষয়টি প্রশাসনকে জানাবো, প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।
সহকারী অধ্যাপক আবুল বাশার রিপন খলিফা দেশ রুপান্তরকে বলেন, এটা একটা নির্লজ্জ, মিথ্যাচার এরকম কোনকিছু এখানে ঘটেনি। আমি উনাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি, হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে এসেছি, আপনারা ঝামেলা হলে এটা করেন। আমি ডাক্তার ম্যানেজ করে দিয়ে এসেছি, আমি সব করেছি। উনি ত অসুস্থ আগে থেকেই। তিনি শারীরিক মানসিকভাবে অসুস্থ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের রুমে যেটা হয়েছে, আমাদের ফার্মেসীর বোর্ড হওয়ার কথা ছিলো আগামী মঙ্গলবার সেটা স্থগিত হয়েছে। কিসের কারণে স্থগিত হয়েছে আমাদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অভিযোগ করেছেন আমার নামে। সহযোগী অধ্যাপকের বোর্ড। ওটা অভিযোগ করেছিলেন, অভিযোগের যখন কথাবার্তা আসছে তখন উনি উত্তেজিত হয়ে কথা বলেছেন এবং আমিও উত্তেজিত হয়ে কথা বলি। পরে আমি রুম থেকে বের হয়ে চলে আসি এরপর উনি সেন্সলেস হয়ে পড়ে যান।
এ বিষয়ে ফার্মেসী বিভাগের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে মুঠোফোনে মন্তব্য করতে রাজি হননি।