বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা) কে কটুক্তির প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের ‘শিবির’ বলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান কে ক্ষমা চাওয়া ও তার শাস্তির দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (১২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ বরাবর স্মারকলিপি দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র উপদেষ্টা নুরুজ্জামান খান ও বহিরাঙ্গন পরিচালক ছাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ বলা হয়, আমরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ টি বিভাগের শিক্ষার্থী। গত ১০ জুন ২০২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিতে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, সকলে মহানবী হযরত মুহাম্মদা সা. কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার অবমাননাকর ও কুরুচিপুর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করি। কিন্তু ঐদিন (১০ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ’শিবির’ বলে মন্তব্য করে। যা আমাদের অনুভুতিতে আঘাত লাগে। শুধু তাই নয়। তিনি শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ও নানা রকম হয়রানি করারও প্রকাশ্য হুমকি দেন। যা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যম সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচিত হয়েছে।
আমরা চাই সেই শিক্ষককে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে তার বিরুদ্ধে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম বলেন, মশিউর রহমান স্যার নিয়মিত উগ্রবাদী মনোভাব সম্পন্ন পোস্ট করে এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে। একজন শিক্ষকের ব্যবহার ও কথাবার্তা এতো অমার্জিত হলে শিক্ষার্থীরা তার থেকে কি শিখবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। ’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি ভাইরাল হওয়ার জন্য নিয়মিত উত্তেজিতপূর্ণ কথাবার্তা বলেন ও পোস্ট করেন। কিন্তু এবার এমন একটি ইস্যু নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছে যা আমাদের অন্তরে আঘাত লেগেছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদ শিক্ষার্থীদের বলেন,আমি বিষয়টি খোজ নিব এবং যতদ্রুত সম্ভব যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১০ জুন) রাতে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘শিবির ক্যাম্পাসগুলোতে কতটা শক্তিশালী প্রশাসন দেখলো তো। পুরো লিডিং এ ছিল শিবির। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে দায়িত্বে থাকা অনেকেই এদের প্রটোকলেও ছিলেন। কি কমু? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে এক সাথে লড়াই করতে হবে।’’এরপর তিনি এ মন্তব্যের জন্য ব্যপকভাবে সমালোচিত হন।