খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো: নাহিদ হাসান (ছদ্মনাম)। থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ইসলামনগর রোডের (হলরোড) ভাড়া বাসায়। পরিবারে আর্থিক অনটন থাকায় উচ্চ মাধ্যমিক থেকেই টিউশনি করিয়ে নিজের পড়াশোনা ও অন্যান্য খরচ চালিয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর নতুন শহর খুলনায় এসেও টিউশনি করিয়েই থাকা খাওয়ার খরচ চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের হঠাৎ উর্ধ্বগতি সব হিসাব যেন এলোমেলো করে দিয়েছে। সেই টাকায় এখন শুধু খাওয়ার খরচ ওঠাই এখন দায়।
শিক্ষার্থীদের ব্যয় বাড়লেও বাড়েনি আয়
নাহিদের মত এমন অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা এখন পড়াশোনা ও অন্যান্য খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয় এবং ব্যয়ের ভারসাম্য রাখতে কেউ কেউ আবার চাহিদার তুলনায় খরচ কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। সপ্তাহে কয়েক বেলার মিল বন্ধ রেখে খরচ কমানোর চেষ্টা করছেন।
শিক্ষার্থীদের ব্যয় বাড়লেও বাড়েনি আয়
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বাবা অসুস্থ। বাসায় টাকা চাইলেও পাঠানোর সুযোগ নেই। তাই যে টাকায় টিউশনি করাতাম তাই দিয়েই চলতে হচ্ছে। মাসের শেষে এসে মাঝে মাঝে একবেলা কমও খেয়ে কাটিয়ে দেই। সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে কিন্তু আমাদের টিউশনির টাকা কিন্তু বাড়েনি। ফলে ব্যয়ের সাথে আয় বৃদ্ধি না পাওয়া সবকিছুর চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
শিক্ষার্থীদের ব্যয় বাড়লেও বাড়েনি আয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী হল রোডের কয়েকজন সবজি বিক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, এখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের এবং আশেপাশের মেসের ছেলেরা মেয়েরা বাজার করে নেয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই আমাদের আয়-রোজগার জড়িত। কিন্তু সবকিছুর দাম বাড়ার পরে ছেলে-মেয়েরা কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। সব সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে যেটা সবাই না বুঝলেও আমরা বুঝতে পারি।