ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)’র মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে এসে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের (২০১৮-১৯) বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে পা’য়ের ধাক্কা লেগে চেয়ার পড়ে গিয়েছে বলে জানায় কাব্য। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় হতভম্ব দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক।
সোমবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরি বিভাগের রুমে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, কাব্য নামের ঐ শিক্ষার্থী রাত আনুমানিক ৯টার দিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নাইট ডিউটিতে থাকা ডাক্তারকে বুকের ব্যাথার কথা জানান। পরে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে দু’জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মেডিকেলে আবার আসে কাব্য। এবং চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া যাবে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স চায় সে। পরে এম্বুলেন্স পেতে বিলম্ব হওয়ায় এমন কান্ড ঘটায় সে এমনটাই দাবি সূত্রের।
এপ্রসঙ্গে অভিযুক্ত কাব্য বলেন, মেডিকেলে কোনো ভাংচুরের ঘটনা ঘটে নি। আমার পা একটু ভাঙা চেয়ারও একটু ভাঙা এজন্য পায়ের ধাক্কায় চেয়ারটা পড়ে গেছে। পরে আমি তা তুলে রাখি। আমার যেহেতু একটা সমস্যা হয়েছিল প্রক্টর সাহেব আমাকে কুষ্টিয়া যেতে দেয় নি। পরে আমি তাকে বললাম লক্ষীপুর নামে একটি মেডিকেল ছিল আমাকে সেখানে যেতে দেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে সে সময়ে দায়িত্বে থাকা ডাঃ ওয়াহিদুল হাসান জানান, ঐ শিক্ষার্থী বুকে ব্যাথা সমস্যা জানালে আমি তাকে চিকিৎসা দেই তবুও তিনি এম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়া যেতে চায় চিকিৎসা নিতে। এখানে কিছুটা দেরি হওয়ায় তিনি এমন ঘটনা ঘটান।
তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তি প্রিয় মানুষ। তার এমন আচরণে শঙ্কা প্রকাশ করছি।
এম্বুলেন্সের চালক জানান, কাব্য কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলেও পরবর্তীতে লক্ষীপুর বাজারে থেকে একটি ডিসপেনসারি থেকে কিছু ঔষধ কিনে আবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বি.এম ছাত্রাবাসে ফিরে আসে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, বুকে পেইন নিয়ে ঐ শিক্ষার্থী হাসপাতালে গিয়েছিল পরে কোন কারণে হয়তে শিক্ষার্থীটি চেয়ার-টেবিল উল্টিয়েছে। পরবর্তীতে এম্বুলেন্সে করে তাকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে এবং আমরা তার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আনসার সদস্যকেও পাঠিয়েছি।