বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছাত্রলীগের রক্তিম-বাকী গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সন্ত্রাস বিরোধী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগের রাফি-শরীফ গ্রুপ।
রবিবার (৫ আগস্ট) ১২.৩০ এর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই মানববন্ধন করেন রাফি-শরীফ গ্রুপের অনুসারীরা। মানববন্ধন শেষে বিভিন্ন সন্ত্রাস বিরোধী স্লোগান দিয়ে ক্যাম্পাসের চারদিক প্রদক্ষিণ করে এবং পরে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।
জানা যায়, প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী অমিত হাসান রক্তিম ও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী এবং বহিষ্কৃত অছাত্র মুয়িদুর রহমান বাকীর নেতৃত্বে বহিরাগত কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেফতার এবং বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে এ সন্ত্রাস বিরোধী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী ছাত্রলীগের রাফি-শরীফ গ্রুপের কর্মীরা।
এ সময় ছাত্রলীগ কর্মী মাহামুদুল হাসান তমাল বলেন, বাকী ও রক্তিম বহিরাগত। এরা ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ঢুকিয়ে দিয়েছে৷ এদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক কখনোই মেনে নিতে পারি না। এদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অনুরোধ জানাচ্ছি।
ছাত্রলীগ কর্মী খালিদ হাসান রুমি বলেন, আমরা মুজিব আদর্শের সৈনিক। আমরা সন্ত্রাসকে কখনো প্রশ্রয় দেবো না। যারাই সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে তাদের কালোহাত রুখে দিবো। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বহিস্কৃত এক বহিরাগত হল দখল করে মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। বহিরাগতরা বিভিন্ন কক্ষ দখল করে রেখেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ছাত্রলীগ সহ্য করবে না। প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে অন্যথায় আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
ছাত্রলীগ কর্মী ফাত্তাউর রাফি বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগতের দৌরাত্ম্যে আজকের এ পরিস্থিতি। হল প্রশাসনের দায়সারা দায়িত্বে হলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আমরা একতাবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাস মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলবো। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে এর জবাব হল প্রশাসনকে দিতে হবে। কিভাবে বহিরাগতরা হলের সিট দখল করে রাখে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা আমরা করবো।