বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত এক বছরে শতাধিক ছাত্রের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে সাতটি রাজনৈতিক মামলা। এসব মামলার ৩০ আসামি তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে মিথ্যা দাবি করে মানববন্ধন করেছে।
রবিবার (১০ই সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের সামনে সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সংবাদ সম্মেলনে করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত হাসান রক্তিম ও মাহামুদুল হাসান তমাল, গণিত বিভাগের আবিদ হোসেন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের খালিদ হাসান রুমি প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রশ্নফাঁসের দায়ে বহিষ্কৃত ও কুখ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী মাইদুর রহমান বাকী কর্তৃক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি । সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অছাত্র মুয়িদুর রহমান বাকি ৪২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছে। এ ধরণের মামলা সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও বানোয়াট। যা সুষ্ঠু তদন্ত করলে প্রমাণিত হবে। আমাদের শিক্ষাজীবন শেষে উজ্জ্বল ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এসব হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এ কে আরাফাত বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে বহিস্কৃত ও কুখ্যাত ইয়াবা ব্যাবসায়ী মুইদুর রহমান বাকি কতৃক ৪২ জন সাধারণ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক মামলা দেয়া হয়েছে। আমরা সধারণ শিক্ষার্থীরা এ মিথ্যে ও হয়রানীমূলক মামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই। আপনারা জানেন গত ৫ই আগষ্ট রাতে মুইদুর রহমান বাকি ও বহিরাগত তার সঙ্গীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা হলে সশস্ত্র হামলা চালায়। উক্ত হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর জখম হয় উক্ত ঘটনায় বন্দর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে উক্ত মামলায় মইদুর রহমান বাকি ১ নং আসামি উক্ত মামলায় মুইদুর রহমান বাকি কে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে এবং মুইদুর রহমান বাকি কর্তৃক মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ ই আগস্ট ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষ ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এদের একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুখের অনুসারী রক্তিম -বাকি গ্রুপ। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান্ত-রুমি-তমাল। এরা নিজেদের বর্তমান মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী বলে দাবি করছেন।
এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত দুপক্ষের ৩ টি মামালা দায়ের করা হয়েছে।