বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা থানা ঘেরাও করে, ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। ঐদিন রাতের মধ্যে আশানুরূপ ফল না আসায় সকাল বেলা ঘোনাপাড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা, শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক, প্রক্টর ও উপাচার্য সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সাথে একাগ্রতা প্রকাশ করে তারাও অবস্থান নেন।
জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা সহ অনেকেই এসে একাত্মতা, সহমর্মিতা প্রকাশ করে তাদের সাথে। কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, যারা যারা ছাত্রলীগ আছেন তারা আন্দোলন থেকে সরে আসুন। আর যদি যারা যারা আন্দোলন করছেন তারা যদি সরে না আসেন তাহলে মনে করবো আপনারা জামাত শিবির।
জামাত শিবির ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করল স্থানীয়রা। শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে হামলার শিকার হন বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য সহ অন্যান্য শিক্ষকরাও। মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়, ”যার যা আছে তাই নিয়ে ছাত্রদের উপর হামলা করতে। শিক্ষার্থীদের উপর ইট নিক্ষেপ করা হয়, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাড়া করা হয়। আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্ধার করতে যাওয়া এম্বুল্যান্সও হামলার শিকার হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ”অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হলো, ধারালো দেশী অস্ত্র উঠানো হল তাদের উপর যাদের দাবিটুকু ছিলো, বোনের জন্য বিচার! মেয়েদের গায়ে হাত তোলা হল! কি নির্মম! কি অসহায়ত্ব!”
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও (রাবি) মানববন্ধন করে প্রথম আলো বন্ধুসভা রাবি শাখা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ” মসজিদের মতো পবিত্র জায়গা থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে,ওরা কি মানুষ? এছাড়াও তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা ও ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান। তারা আরো বলেন, বশেমুরবিপ্রবি ভয় নাই, পাশে আছে রাবি”।