পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ্যানিমল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে বিসিএস লাইভস্টক ক্যাডারে এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রী গ্রাজুয়েট পদে কম্বাইন্ড গ্রাজুয়েট নিয়োগ বন্ধে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ বেলা ১২ টায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে ডিসিপ্লিনের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
প্রাণিসম্পদের উন্নয়নের লক্ষ্যে উচ্চ উৎপাদনশীল পশুর জাত উদ্ভাবন, পশু খাদ্যের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণ, বিজ্ঞানভিত্তিক লালন পালন এবং রোগ প্রতিরোধ সংক্রান্ত জ্ঞানের আহরণ, গবেষণা ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এবং জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সুপারিশক্রমে ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ২০১১ সাল হতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি এএইচ (অনার্স) ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এদেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে স্ব স্ব অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে পশুপালনবিদরা। এদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর আমিষের চাহিদা পূরণ এবং বর্তমান সরকারের ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে এই বিষয়ে দক্ষ গ্রাজুয়েটরা।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এনিম্যাল সায়েন্স এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন একসাথে পাঠদান করিয়ে কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদান করছে।যেখানে বাকৃবি এবং পবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীবৃন্দ এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রি অর্জনের ক্ষেত্রে প্রাণির উৎপাদন সম্পর্কিত কোর্সের যথাক্রমে শতকরা ৭৬.৫৬% এবং ৭১.০৮% পড়াশোনা করছেন সেখানে কম্বাইন্ডের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ৩০.৩২%। কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে মূলত পশুর চিকিৎসা নিয়ে জ্ঞানার্জনকেই প্রাধান্য দেয়া হয় বেশি। কিন্তু এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রির ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ভিত্তিক উপায়ে পশুর জাত উন্নয়ন, নতুন জাত উদ্ভাবন, পশু খাদ্যের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণ করে থাকে।
অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,” প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে প্রাণি উৎপাদন বিষয়ক বিশেষায়িত পদে বিএসসি ভেট সায়েন্স এন্ড এএইচ কম্বাইন্ড ডিগ্রিদের প্রদান করা হচ্ছে যা সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক। বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এই পদে এএইচ গ্রাজুয়েটদের বিকল্প নেই। বাস্তবতা এবং তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে উক্ত পদে শুধুমাত্র এনিম্যাল হাজবেন্ড্রী গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ প্রদান করে দেশের সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জোর দাবি জানান হয়।”