31 C
Bangladesh
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

হল প্রভোস্টের সাথে অশোভন আচরণের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়হল প্রভোস্টের সাথে অশোভন আচরণের প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাবেক শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে শেখ রাসেল হলের প্রভোষ্ট ও এ.আই.এস বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়াকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ২.৩০ টায় একাডেমিক ভবনের সামনে প্রায় অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্ট ফায়েকুজ্জামান  মিয়ার সাথে অশোভন আচরণের তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।

মানববন্ধনে একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের  শিক্ষার্থীরা পলাশ বলেন, গতকাল রাতে জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে শেখ রাসেল হলে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই।

আরো পড়ুন:  র‌্যাগিংয়ে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলো বশেমুরবিপ্রবি

তারা হল প্রভোস্ট এর সাথে খারাপ ব্যবহার করে ক্ষান্ত হননি, প্রক্টোরিয়াল বডিসহ শিক্ষকদের উপেক্ষা করে বিজয় দিবস হলের রিডিং রুম ভাঙচুর , হল চত্বরের গ্লাস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন, আমাদের ও শ্রমিকদের উপর হামলা করেন। তারা অস্ত্রসজ্জিত হয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এই হামলা করেছেন। এই মানববন্ধনে বিচার চেয়েই শেষ নয়, এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হলে আমরা অবস্থান কর্মসূচি, আমরণ অনশন করবো।

আরো পড়ুন:  বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রীকে গণধর্ষণ, প্রতিবাদে স্থানীয়দের হামলা

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কারিমুল হক বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে শেখ রাসেল হলে আছি। শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীদের চোখে প্রভোস্টের অপপ্রচারমূলক কোনো কার্যক্রম এখনো চোখে পড়েনি। আমরা হলবাসী স্যারের উপর সন্তুষ্ট। স্যারের সাথে ঘটে যাওয়া এমন অশোভন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শেখ রাসেল হলে দীর্ঘদিন ধরেই সিটকে কেন্দ্র করে ঝামেলা চলছিলো। হলটিতে একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ এর প্রায় ৪৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। একটি হলে এক বিভাগের এতজন শিক্ষার্থী কিভাবে থাকে সেটি প্রশ্ন রাখার মত বিষয়। সর্বশেষ গতকাল তিনি একটি সিট তিনজনকে বরাদ্দ দেয়ায় ঝামেলার সূত্রপাত হয়। আমরা মূলত সমস্যার সমাধানের জন্যই গিয়েছিলাম এবং কোনোরূপ জটিলতা তৈরির উদ্দেশ্য ছিলো না। কিন্তু স্যার আমাদের দেখে কিছুটা উত্তেজিত হলে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হতে পারতো কিন্তু একাউন্টিংয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং ঝামেলাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’

আরো পড়ুন:  বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষককে অপমান,প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্রসঙ্গত, গতকাল (মঙ্গলবার) হলের সিট বরাদ্দ নিয়ে হল প্রভোস্টের সাথে অশোভন আচরণসহ হলে ভাঙচুর করেন ছাত্রলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও তার দল।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles