31 C
Bangladesh
শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪

ভর্তি পরীক্ষায় কিভাবে ভালো করা যায়?  

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতিভর্তি পরীক্ষায় কিভাবে ভালো করা যায়?  

ভর্তি পরীক্ষা হলো জীবনের মোড় নেওয়ার একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ভর্তি পরীক্ষার সফলতাই আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনার ভবিষৎ কি হতে চলেছে। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পোঁছাতে না পারে তারমানে এই নয় যে সে জীবনে আর কিছুই করতে পারবে না। তবে যে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ভালো মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে, তার জন্য জীবনে সফলতার অনেক রাস্তাই সহজ হয়ে যায়। এটা মেনে নিতেই হবে। তাই সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া

ভর্তি পরীক্ষার জন্য একদম আহামরি কষ্ট করতে হয়না। আর আপনাকে এলিয়েনও হতে হবে না। আপনি নাসায় জব করতে যাচ্ছেন না, যে আপনাকে সব বিষয়ে সব টপিকে একদম পারদর্শী হতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষা হলো একটি টেকনিক। টেকনিক ফলো করে যদি আপনি পড়াশোনা করেন তাহলে আপনার সফলতা আসবেই। আর টেকনিক ফলো না করে একদম সব পড়ে ফাঁটিয়ে দিলেন, তাহলেও হবে না।

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য যে যে বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে

আরো পড়ুন:  ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়(ববি) কেন্দ্রে 'খ' ইউনিটে উপস্থিতির হার ৯৭.১২ শতাংশ

১)  আপনি এইচএসসি পরীক্ষার জন্য যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন তার সাথে ভর্তি পরীক্ষার কোনো মিলই থাকবে না। তবে হ্যাঁ, কলেজে থাকতে আপনি যে টপিকটা পড়েছেন তার বেসিক আপনাকে মনে রাখতে হবে। আর সেই বেসিকের উপর ভিত্তি করে শর্টকাট বের করতে হবে। যেটা একটা কোচিং সেন্টার অনেক ভালো সাজেশন দিয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে মূল বইয়ের প্রায় গুরুত্বপূর্ণ সব টপিকের উপর ভালোভাবেই একটা বেসিক থাকতে হবে।

২) কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নব্যাংক পড়তে হবে। তাহলেই আপনার একমাত্র ধারণা আসবে কিভাবে আর কোন টপিক থেকে সবথেকে বেশি প্রশ্ন করে এই বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ৮০% প্রশ্ন তার বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন প্যাটার্ন থেকেই দিয়ে থাকে। তাই প্রশ্নব্যাংক ভালোভাবে পড়তে হবে।

আরো পড়ুন:  ঢাবির গ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ দেশের আটটি বিভাগে 

৩) এখন যেহেতু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হয়ে থাকে ২০টা বিশ্ববিদ্যালয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যদিও গুচ্ছ থেকে সরে আসার একটা সম্ভবনা রয়েছে। যাই হোক, গুচ্ছতে যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের প্রশ্নব্যাংক ঘাটাঘাটি করতে হবে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এখন একবার যেহেতু গুচ্ছতে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে, তাই সেই বছরের প্রশ্নের ধরণ দেখতে পারো। তবে এইবারও যে এই প্যাটার্নেই আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারন কেবল গুচ্ছ শুরু হলো। প্রত্যেক বছর নতুন নতুন প্রশ্ন দেওয়ার জন্য অনেক টপিক এখনো পড়ে আছে। তাই গুচ্ছতে যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের প্রশ্নব্যাংক ভালোভাবে বুঝে বুঝে সব শেষ করে ফেলতে হবে।

আরো পড়ুন:  রাবিতে দ্বিতীয় দিনের ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য

৪) ভর্তি পরীক্ষার ১০/১৫ দিন আগে আর নতুন কোনো কিছু পড়ার কোনো দরকার নেই। যা পড়েছো তাই ঝালাই করতে থাকো। তাছাড়া দেখবে পড়ে যাওয়া প্রশ্নও পরীক্ষার হলে ভুল করে রেখে আসছো। তাই পড়া বিষয়গুলো এই সময়ে ভালোভাবে ঝালাই করলে তোমার কনফিডেন্স লেভেল অনেক হাই হয়ে যাবে। দেখতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আর ভয় কাজ করছে না। অনেক ছেলেমেয়ে  চান্স না পাওয়ার কারন ভয়ে থাকে তারা, আর নার্ভাসেই সব ভুল করে রেখে আসে। তাই কনফিডেন্স লেভেল বাড়াতে হবে।

Check out our other content

Check out other tags:

Most Popular Articles