জানা গেছে, সম্পূর্ণ অত্যাধুনিক এ অনুষদে ১ টি ইন্সটিটিউট ও ২ টি ডিপার্টমেন্টের থাকবে মোট ৫৬ টি কক্ষ সমৃদ্ধ ৫ তলা বিশিষ্ট কাডেমিক ভবন। ৫ তলা বিশিষ্ঠ টিচার্স ব্লকে আছে ৩৫ টি কক্ষ। আরও আছে মেরিন একুরিয়াম ভবন। গবেষণার সুবিধার্থে সামুদ্রিক নানা পর্বের নানা গোত্রের প্রাণী থাকবে এ একুরিয়ামে। একুরিয়ামের পাশাপাশি একটি হ্যাচারিও রয়েছে এই অনুষদের অধীনে।চবিতে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি
প্রতিটি ইন্সটিটিউট ও ডিপার্টমেন্টের জন্য থাকবে অত্যাধুনিক ল্যাব। একটি কমন স্পেসের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্যান্টিন থাকবে এ অনুষদ ভবনে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রার্থনার জন্য থাকবে প্রেয়ার রুম। অনুষদ এলাকায় রয়েছে একটি লেক যেখানে শিক্ষার্থীরা সাতার চর্চা করতে পারবেন।চবিতে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি
আত্যাধুনিক এই অনুষদের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সোলার সিস্টেম। নির্দিষ্ট ভবনের ছাদে সোলার প্যানেলগুলো বসানো থাকবে যা থেকে অনুষদের মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ বিদ্যুৎই পাওয়া যাবে। বাকি ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ বিশ্ববিদ্যালয় সরবরাহ করবে।চবিতে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি
এ বিষযটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিস সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ অনুষদের অধীনে বর্তমানে মেরিন সায়েন্স ইন্সটিটিউট, ওশানোগ্রাফি বিভাগ ও ফিশারিজ বিভাগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া আরো নতুন দুটি বিভাগ অনুষদের অধিনে যুক্ত করার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।চবিতে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস কানাডা সরকারের সহযোগিতায় সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ক দেশের একমাত্র বিদ্যাপীঠ হিসেবে ‘মেরিন বায়োলজী বিভাগ’ নামে ১৯৭১ সনে যাত্রা শুরু করে। যা পরবর্তীতে ১৯৮৩ সনে ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস ২০০৬ সনে ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস এন্ড ফিশারিজ এবং সর্বশেষ ২০১৭ সন থেকে ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস নামে স্বতন্ত্র শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।