চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চৌধুরীহাট এলাকায় শাটল ট্রেন দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক-স্টাফ বাসসহ বিভিন্ন জায়াগায় ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় শনিবার দুটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি মামলায় সাত জন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সামনে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের নামে করা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের চার দফা
শিক্ষার্থীদের নামে দেয়া অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে
আহত শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ সুস্থতার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে
শাটল ট্রেনে সবার সিট নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিটনেসবিহীন বগি ও ইঞ্জিন সংস্কার করতে হবে
চবি মেডিক্যালে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের পাশাপাশি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী মাঈনুল হিমেল বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল, কিছু ষড়যন্ত্রকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি করেছে, গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে। ভাঙচুর সাধারণত শিক্ষার্থীরা করেনি। ষড়যন্ত্রকারীরা ভাঙচুর করেছে, দায় দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর।’