fbpx

এই ক্যাম্পাস পত্রিকা

Homeরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রাবির ক্লাস বন্ধ ১৫ দিন, কিন্তু আবাসিক ১৭টি হল খোলা থাকছে ঈদের...

রাবির ক্লাস বন্ধ ১৫ দিন, কিন্তু আবাসিক ১৭টি হল খোলা থাকছে ঈদের বন্ধেও

Published on

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলো আগে ক্লাস-প্রশাসনিক কার্যক্রমে ছুটি হলেই বন্ধ থাকতো। যখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হয়ে যেতো তখন থেকেই বন্ধ হতো হলগুলো এবং খুলতো ঠিক ছুটি শেষ হওয়ার তিন-চারদিন আগে।

কিন্তু এইবার থেকে নতুন সিদ্ধান্ত নিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ আবাসিক হলগুলো আর বন্ধ হবে না। ৭ জুলাই থেকে ঈদের ছুটি শুরু এবং শেষ হবে ২২ জুলাই। কিন্তু এখন থেকে বন্ধেও আবাসিক হল খোলা রাখার এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রশাসনিক বিভিন্ন সূত্র বলে, ” রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা বাড়িতে যেতে চায় না চাকরির পড়াশোনার জন্য। অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিতে থাকে। অন্য ধর্মাবলম্বীরাই শুধু না, সবার কথা মাথায় রেখেই এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৯টি আবাসিক হল হবে, ২ টি  আবাসিক হলের নির্মাণ কার্যক্রম চলমান। হলগুলো হলো-

১. মতিহার হল : রাজশাহীর মতিহার থানার নাম অনুসারে এই হলটির নামকরণ করা হয়। ক্যাম্পাসটি এই থানার অধীনে থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বলে থাকেন মতিহারের সবুজ চত্বর। ১৯৫৮ সালে টিনসেড দিয়ে তৈরী করা হয় হলটি। তবে ১৯৮০ সালে নতুন করে আবারও তিনতলা বিশিষ্ট হল তৈরী করা হয়।

২.শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় হলটির নাম ‘শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল’। যদিও ১৯৬২-৭১ সাল পর্যন্ত হলটির নামকরণ ছিল ‘জিন্নাহ হল’। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের পর ৭২ সালে ফজলুল হকের নাম অনুসারে এই হলটির নামকরণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ সংলগ্ন জমিতে এই হলটির অবস্থান। এই হলে আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩০০ জন। হলটিতে একই কক্ষে চারজন থেকে শুরু করে একক সিটেরও কক্ষ রয়েছে।

৩.শাহ্‌ মাখদুম হল : বিশিষ্ট সুফিসাধক হয়রত শাহ মখদুম রুপস এর নাম অনুসারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় হলটির নামকরণ করা হয় ‘শাহ মখদুম হল’। তিনতলা বিশিষ্ট এ হলটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হলের প্রশাসনিক কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য হলকে অফিসিয়ালী পূর্ব ও পশ্চিম ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। নীচতলা উত্তরে প্রাধ্যক্ষ কক্ষ সহ অতিথি কক্ষ, অফিস সমূহ, লাইব্রেরি ও ইন্টারনেট রুম। পশ্চিমে ক্যান্টিন, পত্রিকা কক্ষ, মসজিদ ও কমনরুম, আর পূর্বে আছে ২ টি ডাইনিং। হলের আসন সংখা ৪৩০। হলের আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্র সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩০ ও ১৮৬৮ জন।

৪.নবাব আবদুল লতিফ হল : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের চতুর্থ হলটি অবস্থান শাহ মখদুম হলের সামনেই। দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ স্যার নবাব আব্দুল লতিফের নাম অনুসরনে হলটির নামকরণ করা হয়। নবাব আব্দুল লতিফ হলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। হলটিতে ৩০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এটিই একমাত্র হল যেখানে কোনো রুমেই দুই জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকার ব্যবস্থা নেই।

৫.সৈয়দ আমীর আলী হল : একই বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাবিদ সৈয়দ আমীর আলীর নাম অনুসারে পঞ্চম হলটি নির্মান করা হয়। শাহ মখদুম ও লতিফ হলের পূর্ব পার্শ্বে এই ‘সৈয়দ আমীর আলী হল’টির অবস্থান। হলটিতে ৪২০ জন শিক্ষার্থীর এক সাথে আবাসিকতার ব্যবস্থা রয়েছে। এই হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব চেয়ে বেশি হিন্দু শিক্ষার্থী থাকেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র এই হলটিতেই হিন্দু শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা একটি ডাইনিং চালু রয়েছে। এছাড়া মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ডাইনিংসহ খাওয়ার জন্য রয়েছে একটি ক্যান্টিন।

৬.শহীদ শামসুজ্জোহা হল : বাংলাদেশের প্রথম শহীদ শিক্ষক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এবং সাবেক প্রক্টর শহীদ শামসুজ্জোহার নাম অনুসরণে এখানে ষষ্ট হলটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৬৯ সালে শহীদ শামসুজ্জোহা হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বপাড়ায় বধ্যভূমি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেইট দিয়ে উত্তর দিকে বেশ কিছুটা পথ আসার পরই এই হলটি পাওয়া যাবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষকদের জন্য শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম ডরমেটরি নামে একমাত্র আন্তর্জাতিক হলের সামনেই হলটির অবস্থান। এই হলটিতে একসাথে ৩২০ জন শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

৭.শহীদ হবিবুর রহমান হল : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক হবিবুর রহমান। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হবিবুর রহমান নামে একটি হল প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে কিছুটা সামনে এসে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তন থেকে কিছুটা পা বাড়ালে দেখা মিলবে সপ্তম হলটির। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হলটিতেই সর্বোচ্চ ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হলটিতে একসাথে ৬১৪ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। সম্প্রতি হলটি নতুনভাবে নির্মান করা হয়। হলটির সামনে হবিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি তৈরী করা হয়েছে।

৮.মাদার বক্স হল : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাদার বখশের নামের সাথে মিল রেখে অষ্টম হলটি নির্মাণ করা হয় ১৯৭৪ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশন এলাকায় মাদার বখ্শ হলের অবস্থান। হলটিতে একসাথে ৫৮৪ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারেন।

৯.শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী হল : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম হলটি নির্মাণ করা হয় ১৯৭৮ সালে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী নামে এই হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের পিছনে স্টেশন এলাকায়। হলটিতে ৫৯২ জন শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। হলটিতে একক সিট থেকে শুরু করে এক কক্ষে চারজন শিক্ষার্থীরও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

১০.শহীদ জিয়াউর রহমান হল : প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম অনুসরণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম হলটি বির্মাণ করা হয় ১৯৯৩ সালে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ ও শহীদ হবিবুর রহমনা হলের মাঝখানে এই হলটির অবস্থান। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম থেকে কিছুটা উত্তর পার্শ্বে এই হলটি। ৫৯৮ জন শিক্ষার্থী একসাথে হলটিতে থাকতে পারেন।

১১.বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল : বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর নাম অনুসারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সর্বশেষ হলটি নির্মাণ করা হয় ২০০৩ সালে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলটি বিশ্ববিদ্যালরে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেয়িার পেছনে অবস্থিত। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র এই হলেই গবেষকদের থাকার জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। হলটিতে ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর এক সাথে আবাসন ব্যবস্থা পেয়ে থাকেন।

১২. মন্নুজান হল : ক্যাম্পাসের প্রথম এই ছাত্রী হল নির্মিত হয় স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রায় ৭ বছর পূর্বে। ১৯৬৪ সালে ছাত্রীদের প্রথম আবাসিক হল দানবীর হাজি মুহম্মদ মহসিনের বড় বোন বেগম মন্নুজানের নামানুসারে নামকরণ করা হয়।

১৩. রোকেয়া হল : মুসলিম নারী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেনের স্মৃতির উদ্দেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের দ্বিতীয় আবাসিক হল স্থাপিত হয় ১৯৮০ সালে।

১৪. তাপসী রাবেয়া হল : ছাত্রীদের তৃতীয় আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে তাপসী রাবেয়া হল।

১৫.বেগম খালেদা জিয়া হল : ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ছাত্রীদের চতুর্থ হল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামানুসারে এ হলের নাম রাখা হয় ‘বেগম খালেদা জিয়া হল’।

১৬. রহমতুন্নেসা হল : মেয়েদের জন্য নির্মিত ৫ম হল এটি।

১৭. বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল  : এই হলটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী এবং বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাতা “বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের” নামানুসারে ।

নির্মানকাজ চলমান যে দুটি হল

১৮. কামারুজ্জামান হল 

১৯. শেখ হাসিনা হল

Latest articles

বশেমুরবিপ্রবিতে আরশিনগর ছাত্র কল্যাণ সমিতির, ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ আলমগীর হোসেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত  কুষ্টিয়া...

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় সমাধিতে বি.এন.সি.সি. সুন্দরবন রেজিমেন্টের শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে...

উদ্বোধন হলো “অমর একুশে গ্রন্থ কুটির-২০২৩”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে শুরু হলো চারদিন ব্যাপি "অমর একুশে গ্রন্থ কুটির-২০২৩"। আজ ১৮ই...

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে সম্পন্ন হলো “এসপিএসএস & আর ফর ডাটা এনালাইসিস” ওয়ার্কসপ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিন ব্যাপি “এসপিএসএস & আর ফর...

More like this

বশেমুরবিপ্রবিতে আরশিনগর ছাত্র কল্যাণ সমিতির, ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ আলমগীর হোসেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত  কুষ্টিয়া...

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় সমাধিতে বি.এন.সি.সি. সুন্দরবন রেজিমেন্টের শ্রদ্ধা

বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে...

উদ্বোধন হলো “অমর একুশে গ্রন্থ কুটির-২০২৩”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাবের উদ্যোগে শুরু হলো চারদিন ব্যাপি "অমর একুশে গ্রন্থ কুটির-২০২৩"। আজ ১৮ই...