রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের প্রফেসর বেগম আসমা সিদ্দিকাকে শ্রেণিকক্ষে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আশিক উল্লাহ নামে স্নাতকোত্তর বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) সকালে ক্লাস চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একটি শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আশিক উল্লাহ নামে ওই শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময় ছাত্রীদের হেনস্তাসহ বিভাগের শিক্ষকদের নামেও কটাক্ষ করে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি ‘আশিক নামা’ পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে আসছিল। সকালে ক্লাস চলাকালে আশিক উল্লাহ ক্লাসে প্রবেশ করে এবং ক্লাসের দরজা বন্ধ করে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এ সময় সেই শিক্ষিকা বের হওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় আশিক।
এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাদেরকেও হত্যার হুমকি দেয়া হয় বলে জানা গেছে।
ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা আশিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিসহ তিন দফা দাবিতে বিভাগের সামনে অবস্থান নেয়।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের প্রফেসর বেগম আসমা সিদ্দিকা বলেন, এই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সে আমাকে ক্লাসরুমে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে আমাকে বের করে আনে। আমি তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর প্রফেসর আসাবুল হক জানান, এ শিক্ষার্থীর নামে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম ছেলেটি এখান থেকে পাস করে বেরিয়ে যাক। কিন্তু সে এমন কাজ করছে সেটা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য। আগের এবং আজকের অভিযোগের ভিত্তিতে তার নামে আলাদা দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট শৃঙ্খলা কমিটিতে যাবে তারপর সিন্ডিকেটে তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে ভিসি ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন।