ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) কখনো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করে নাই বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৩১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কমিউনিটি ভিত্তিক একটি গণমাধ্যম ও বাংলাদেশের ৭১ টেলিভিশনে ইউসিএ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে এমন সংবাদ প্রচার করে।

বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন ইউসিএ কর্তৃপক্ষের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে ইউসিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘ইউসিএ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করে নয়।

বরং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইউসিএ তে ভর্তি হতে ইচ্ছুক হলে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করে থাকে’।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর থেকে আমি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি, চেষ্টা করেছি,  অনবরত যোগাযোগ করেছি ইউসিএ কর্তৃপক্ষের সাথে।

আমি ফোন করেছি, মেইল করেছি, সর্বশেষ গতকাল মেইল এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তারা কখনোই আমাদের সাসপেন্ড করে নাই। এখান থেকে বুঝাই যায় যে সংবাদটি ফেইক। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান নষ্ট করতে চেয়েছে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান সম্মান নষ্ট করতে যে দুষ্টচক্র কাজ করছিল তারা পারেনি। আমরা আমাদের মানটি ফিরে পেলাম। মানটি অক্ষুন্ন থাকলো।

তিনি আরও বলেন, দেশের যে সংবাদ মাধ্যমটি সংবাদ প্রচার করেছে সেটি যে মিথ্যা তা তো প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এতদিন এ ব্যাপারে সব ডকুমেন্টস না থাকায় ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আমরা তাদের সাথে কথা বলব এবং ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি ফর দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস (ইউসিএ) নামের একটা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে এমন সংবাদ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের কমিউনিটিভিত্তিক একটি গণমাধ্যম।

তারেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি গণমাধ্যমও সংবাদ প্রচার করে। সেখানে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও রয়েছে এমন দাবি করা হয়।

তবে ইংরেজি নামে ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সাথে মিল থাকায় বির্তকের সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন এবং বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি জানান।