চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কর্মীর বিরুদ্ধে। জেলা অ্যাসোসিয়েশনের পদ পাওয়ার জের ধরে মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক সোহরাওয়ার্দী হলের এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হওয়ার পর জুনায়েদ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতার নাম জুনায়েদ হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত কর্মীর নাম জুবায়ের পাঠান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তাঁরা দুজনেই শাখা ছাত্রলীগের উপপক্ষ বিজয়ের অনুসারী।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ আগস্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ময়মনসিংহ জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। এ কমিটিতে সহসভাপতি পদে রয়েছেন জোনায়েদ হোসেন। কিন্তু জুবায়ের পাঠান কোনো পদ পাননি। এ নিয়ে জুবায়ের ক্ষিপ্ত হন। মঙ্গলবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হলের ডাইনিংয়ে খেতে আসেন জোনায়েদ হোসেন। এরপর জুবায়ের কেন পদ পেলেন না এ বিষয়ে জুনায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জুনায়েদকে মারধর করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, পাঁচ বছর ধরে ময়মনসিংহ জেলা স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অথচ কোনো পরিচয় (পদ) নেই। তাঁর নিষেধ না মেনে কমিটি করায় জোনায়েদের সঙ্গে তর্ক হয়। এরপর তাঁর ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে যান জুনায়েদ। বিষয়টি নিয়ে তিনি লজ্জিত। এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, `মারধরের শিকার ওই ছাত্রকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সে সুস্থ হলে তাঁর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’