চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল। বহু বছর পর আবারও ট্রেনটি রঙিন হচ্ছে জার্মান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জারের শিল্পকর্মে।
জানা যায়, তিনি জার্মানির আরইউএসবি আর্ট গ্রুপের প্রধান শিল্পী এবং সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন শিল্পকর্মে রঙিন করছেন শাটল ট্রেন। এই কাজে তাঁকে সহযোগিতা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে জার্মান এই শিল্পী শাটল ট্রেনে শিল্পকর্মের কাজ শুরু করেন। শিল্পকর্মে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন, সংসদ ভবন, সিআরবি, সূর্যাস্তের দৃশ্য, সমুদ্রসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য স্থান পাবে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘গত ২৮ মার্চ জার্মান শিল্পী লুকাস জিলিঞ্জার আমাদের উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে শাটল ট্রেনের বগিগুলো নান্দনিক শিল্পকর্মের মাধ্যমে সাজানোর প্রস্তাব দেন। আমাদের শাটল ট্রেনে আগে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম ছিল। আমাদেরও শাটল ট্রেন সাজানোর পরিকল্পনা ছিল। আমরা তাঁর প্রস্তাবটি বিবেচনা করে তাঁকে শিল্পকর্মের অনুমতি দেই।’
প্রসঙ্গত, একসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেনের বগিগুলোতে ছিল বিভিন্ন শিল্পকর্ম। তবে তখন বগিভিত্তিক রাজনীতির চর্চাও ছিল মাত্রাতিরিক্ত।