রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। নির্যাতিত শিক্ষার্থী এ বিষয়ে লোমহর্ষক বর্ণনা দেন।
এ বিষয়ে নির্যাতিত শিক্ষার্থী মো: নজরুল ইসলাম বলেন যে, আমি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। গত ০১-০৮-২০২৩ মঙ্গলবার রাতে রিডিং রুমের পাশে উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন আমীর আলী হল ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক উপসম্পাদক এবং শেরে বাংলা হলে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে অবস্থান করে আসা আল-আমিন।
আমি গিয়ে তাকে পাশে রিডিংরুম আছে বলে আস্তে কথা বলতে বলি।তাকে আস্তে কথা বলতে বললাম কেন একথা নিয়ে সে আমার সাথে তর্কবিতর্ক শুরু করে এবং বলে “তুই জানিস আমি তোর কি অবস্থা করতে পারি”।
তর্কের একপর্যায়ে সে বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন জেমসকে ডেকে নিয়ে আসে।
আলতাফ হোসেন জেমস,আলামিন আমাকে শেরে বাংলা হলের গেস্টরুমে নিয়ে গিয়ে গেস্টরুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
মারধরের একপর্যায়ে আমি মাটিতে পড়ে যাই এবং আমার কান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। পরে তারা আমাকে কোথাও অভিযোগ জানালে অথবা একথা কাউকে বললে আবার আমাকে মারবে বলে হুমকি দেয়।
ওইরাতে আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ভর্তি হই এবং পরদিন রাজশাহী মেডিকেলে ডাক্তার দেখালে ডাক্তার আমাকে বলে আমার কানের শব্দ অনুভুতি সাড়িয়ে তুলতে বেশ সময় লাগবে এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা করাতে হবে।
উক্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে আজকে আমি প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ জানাই।কিন্তু প্রক্টর অফিস থেকে আমি কোনোরকম সন্তুষজনক উত্তর পাইনি।
আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুবাধে হয়তো আমার এই অবস্থা।
আমি মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত এবং শারীরিকভাবে আজ আমি শ্রবণ অনুভুতিহীন।
তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি আমার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অসম্পূর্ণ রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাবো। ভালো থেকো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।