রাবির এক শিক্ষার্থী রাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন থেকে সিলেকশন পদ্ধতি নিয়ে লিখেছেন, ”রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় লাখ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করলেও ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না সবাই, এমন সিলেকশন পদ্ধতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে আমি এবং এই পদ্ধতির তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের সময়ও এইরকম আজগুবি সিলেকশন পদ্ধতি ছিলো। যে যত লাখ শিক্ষার্থীই আবেদন করুক, পরীক্ষা দিতে পারবে প্রতি ইউনিটে মাত্র ৭৫,০০০ জন। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদন করতে পারলেও জিপিএ ৫.০০ ছাড়া কেউ রাবির ভর্তি পরীক্ষাই দিতে পারবে না।
এমনকি জিপিএ ৫.০০ পেয়েও ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেনা এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে, প্রতি সাব্জেক্টে নাম্বার কমবেশি পাওয়ার কারনে। এই রকম সিলেকশন পদ্ধতি থাকা উচিত নয়। কারন, সব শিক্ষার্থীদেরই রাবির ভর্তি পরীক্ষায় বসার অধিকার আছে। সবারই স্বপ্ন থাকে স্বায়ত্ত্বশাষিত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার, বড় বড় নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন রাবি নিমিষেই শেষ করে দেয়, এই আজগুবি সিলেকশন করে। এই সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। যত লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করার সুযোগ পাবে তাদের সবাইকেই ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। ”
উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় এইচএসসি রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে যেসকল শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক আবেদন থেকে মনোনিত করে চূড়ান্ত আবেদনের জন্য বাছাই করা হয়েছে অর্থাৎ যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে তার তালিকা প্রকাশ করেছে রাবি প্রশাসন।
‘এ ইউনিটে’ আর্টস (মানবিক বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৪.৫৭, কমার্স (ব্যবসায় বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৪.৯২, সায়েন্স (বিজ্ঞান বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৫.০০ নেওয়া হয়েছে।
‘বি ইউনিটে’ আর্টস (মানবিক বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৪.৫৮, সায়েন্স (বিজ্ঞান বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৫.০০ নেওয়া হয়েছে।
এবং, ‘সি ইউনিটে’ সায়েন্স (বিজ্ঞান বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৫.০০, আর্টস (মানবিক বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৫.০০, কমার্স (ব্যবসায় বিভাগ) থেকে সর্বনিম্ম জিপিএ ৫.০০ নেওয়া হয়েছে।