রাজশাহী বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দাবি করছে সকল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যে ভর্তিচ্ছু সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাবি উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছে। আর এরই মধ্যে ফেসবুকে ভেসে উঠে আরেকজন শিক্ষার্থীর ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা চালু করার বিষয়ে খোলা আবেদন ও অনুভূতি। তার লেখাটি সম্পূর্ণ তুলে ধরা হলো-
আমি একজন সেকেন্ডটাইমার। আমি রাবিতে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এ ইউনিট এ। আমি সায়েন্স এর স্টুডেন্ট। বিভাগ পরিবর্তন এর প্রিপারেশন ছিল। আমার স্কোর ছিল ৬৪.০৫ আমি চান্স পাইনি। রাবি ক্যাম্পাস দেখে আমি রাবির প্রেমে পরে যাই। আমি মোটামুটি সিওর ছিলাম আমি টিকব,কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আমি টিকি নাই। এখনও রাবির পিক দেখলে চোখ দিয়ে পানি আসে। এই পোস্ট লিখতে লিখতেও কান্না চলে এসেছে।
আল্লাহর কাছে নামাজে খুব কান্না করি, তারমধ্য মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীর সেকেন্ড টাইম এর সাপোর্ট করা, আমার ভাইবোনদের আন্দোলন দেখে, মনে আশা জেগেছে। আমি রাবির বড় ভাই বোন ও আমার সহপাঠীদের বলব, আমরা যারা একটুর জন্য টিকিনি, আর একবার সুযোগ পাইলে, আমাদের স্বপ্ন টা পুরন হবে। আপনারা আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করেন না। মানুষ তার জীবনে আর একটা সুযোগ ডিজার্ব করে। আল্লাহ যেখানে মানুষকে মাফ করে, অনেকে প্রথমবার এ পারে না। বই কিনতে না পারা, ভালো টিচার না পাওয়া, ভুল সিধান্ত এইসব কারনে। সবার বাবার প্রাইভেট এ পড়ানোর সামর্থ্য থাকে না। রাবির ভিসি উনি একজন স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি ভিসি। আমার বড় ভাই বোনরা প্লিজ আমাদের সাহায্য করেন। আপনারা ভিসি স্যারকে আমাদের কথা বলেন। আমাদের সাহায্য করেন।আমাদের আন্দোলনকে সাপোর্ট করেন। আমাদের আর একটা সুযোগ দান প্লিজ। হাত জোর করে বলছি।
আর ফাস্ট টাইমার ভাইবোনদের বলব, আমরাও আগে সেকেন্ড টাইমারদের বোঝা ভাবতাম। সেকেন্ড টাইমার হওয়ার পর আমি বাস্তবতা আর স্বপ্ন চুরমার হওয়ার কষ্ট বুঝেছি। সেকেন্ড টাইম চালু হলে তোমরা আমাদের চেয়ে উপকৃত হবে, ভবিষ্যৎ এ।
একজন সেকেন্ডটাইমারের পোষ্ট- ”রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এডমিশন হেল্পলাইন ২০২০-২১” থেকে নেওয়া