ছবিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে যেনো শীতের প্রকোপটা তাদের ঝেঁকে ধরেছে। কুকুরগুলো একে অপরের সাথে লেপ্টে আছে একটু উষ্ণতা পাওয়ার উদ্দেশ্যে। শীতের ঠান্ডায় যেনো গোটা শরীর স্তবীর হয়ে আসে। আমাদের মন চায় সব কাজ ফেলে একটু কাঁথা কম্বলটা মোড়া দিয়েই বিছানায় শুয়ে পড়ি। কিন্তু কুকুরের আর সে সখ বা আহ্লাদই বা কোথায়। তাই তো তাদের দেখা মিলে অলিতে গলিতে, কারো ভবনের সামনে জড়ো হয়ে একসাথে ঘুমিয়ে পড়তে।
সেই রকমই একটি দৃশ্যের দেখা পাওয়া গেলো, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল স্টেশন বাজারেই। কোথায়ই তো আছে, শীতে বাঘও কাঁপে। বলতেই পারেন আর এ তো কুকুর। তবে হ্যাঁ কুকুরের কথা বলতেই আমাদের মাথায় একটা কথা ঘুরপাক খায়। একটি রুশ মহাকাশ কুকুর যা পৃথিবীর প্রথম জীব হিসেবে পৃথিবীর কক্ষপথ পরিক্রমণের সৌভাগ্য অর্জন করেছিল। ১৯৫৭ সালের ৩রা নভেম্বর উৎক্ষেপণ করা স্পুটনিক ২ এ করেই মহাকাশ ভ্রমণ করেছিলেন কুকুরটি। আর এই কুকুরটির নামও হয়তো কারো অজানা নয়, লাইকা।
লাইকার পাশাপাশি আরও দুইটি কুকুরকে এই মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত লাইকাই নির্বাচিত হয় মহাকাশ ভ্রমণের জন্যে। লাইকার মূল নাম “কুদরিয়াভকা” এবং সে একটি মেয়ে কুকুর। চাপ ও তাপমাত্রার অত্যধিক বৃদ্ধির জন্যই লাইকা মারা গিয়েছিলো উৎক্ষেপনের মাত্র দুই ঘন্টা পরেই। তবুও এর মাধ্যমেই মনে করা হয় একজন মানুষও জীবিত থেকেও পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করতে পারবে। ২০০৮ সালের ১১ই এপ্রিল রুশ কর্মকর্তারা লাইকার সম্মানে একটি স্মৃতিসৌধ স্থাপন করেছে। মস্কোর একটি সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছে এই ছোট্ট স্মৃতিসৌধটি অবস্থিত।