রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কোটি টাকার সিট বাণিজ্যের অভিযোগ বেশ পুরোনো। এই সিট বাণিজ্যের ভুক্তভোগী হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী। এমন গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও দেখার কেউ নেই এমনকি প্রশাসনও এই বিষয়ে নীরব। চলমান সিট বাণিজ্য নিয়ে কেউ কেউ মুখ খুলেছে আবার অনেকে মুখ খুলতে সাহসই পায়নি। অভিযোগ আছে, যারা সিট বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের হল থেকেই নামিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের কিছু অসৎ নেতাকর্মীরা। এতকিছুর পরও মাঝে মধ্যেই এই সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সিট বাণিজ্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেখা যায় কিছু কিছু শিক্ষার্থীকে। আবার কিছু কিছু শিক্ষার্থী তাদের অসহায়েত্বের কথা বেদনাদায়ক ও কষ্টের সুরে তুলে ধরেন।
এই রকম একজন শিক্ষার্থী তার নিজের কথা ফেসবুকে তুলে ধরেন এই ভাবে –
” আমার বাবা একজন হার্টের রোগী এবং আমার মা টেরিজিয়াম রোগে আক্রান্ত রোগী( কিছুদিন আগে অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে)।আমি পারিবারিকভাবে বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছি। অনেকটা অসহায় হয়ে এই পোস্টটি করা।
আমি নবাব আব্দুল লতিফ হলের একজন আবাসিক ছাত্র। আমার কক্ষ নং-২০৪। আমি উক্ত রুমে বিগত ৪ মাস থেকে বেড শেয়ারিং করে ছিলাম। আমি যার সাথে বেড শেয়ারিং করে থাকতাম সেই বড়ভাই অন্যরুমে চলে যাওয়ায়, আমি বিগত ১০ দিন আগে কক্ষ স্থায়ীভাবে বরাদ্দ পেয়েছি । আমার হল কার্ড আছে।
আজকে সন্ধ্যার সময় নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শামীম হোসেন ভাই আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে হল থেকে বের হয়ে যেতে বলে এবং বের না হলে আমাকে তার অনুসারিরা বের করে দিবে। সেই সময় তার পাশ থেকে তৌহিদ ভাই( আরবি বিভাগ, ২০১৫-১৬ সেশন) আমাকে বলে যে, তোকে বের করে দিলে কি হবে? সর্ব্বোচ্চ একটা নিউজ হবে, এছাড়া আমাদের কিছুই হবে না। তারপর আমার (অনুপস্থিতিতে) আজ রাত ১১.০০ টার সময় নবাব আব্দুল লতিফ হলের ছাত্রলীগের সেক্রেটারি শামীম ভাইয়ের অনুসারীরা রুমে এসে আমার বিছানাপত্র সব নিচে ফেলে দেয় এবং আমার সিটে অন্য একজন ছেলেকে উঠিয়ে দেয়। আমার বরাদ্দকৃত কক্ষ থাকা সত্ত্বেও আমি কেনো বারান্দায় অবস্থান করছি? লিগ্যালি ভাবে হলে থাকা কি আমার জন্য নয়? আমি এখন হলের বারান্দায় অবস্থান করছি। আমি স্থায়ীভাবে সিট বরাদ্দ পেয়েও কেনো অন্য রুমে গিয়ে ডাবলিং করে থাকবো?? আর ডাবলিং করে না থাকলে আমাকে হল থেকে বের হয়ে যেতে হবে। ”